1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপীয়দের কাছে ট্রাম্প

২৮ অক্টোবর ২০১৬

মার্কিন মুলুকে নির্বাচন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী? ভাবলেই ইউরোপীয়দের যেন গায়ে জ্বর আসে৷ সে তুলনায় ইউরোপীয়দের কাছে হিলারি ক্লিনটনই যেন কিছুটা গ্রহণযোগ্য৷ ব্যার্ন্ড রিগার্ট অন্তত তাই দেখেছেন৷

https://p.dw.com/p/2RpRP
Donald Trump
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/E. Vucci

ইউরোপে মাত্র একটি বহুতল ভবনই ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম বহন করছে৷ সেটিও আবার ইস্তানবুলের যে অংশটি ইউরোপীয় ভূখণ্ডে পড়ে, সেইখানে৷ তবে ট্রাম্প মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার বিরুদ্ধে তর্জন করার পর অনেক তুর্কি রাজনীতিক দু’টি টাওয়ার থেকেই ট্রাম্পের নাম মুছে দেওয়ার পক্ষে৷

এছাড়া ট্রাম্প গ্রুপ স্কটল্যান্ডে একটি গল্ফ লিংকস চালান৷ এই দু’টি ক্ষেত্র ছাড়া ইউরোপের সঙ্গে ট্রাম্পের বিশেষ লেনদেন ছিল না৷ অ্যাবারডিনের কাছে গল্ফ লিংকসটি নিয়ে বিনিয়োগকারী ও স্কটিশ সরকার, সকলকেই ভুগতে হয়েছে, মামলাও চলেছে৷ যা ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই পরিমাণ বিনিয়োগ করা হয়নি; যত চাকুরি সৃষ্টি হবে বলা হয়েছিল, শেষমেশ তা হয়নি৷ তা সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জুন মাসে স্কটল্যান্ড সফরে এসে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি ‘স্কটল্যান্ড বিজয় করেছেন’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবেও ঠিক তা-ই করবেন৷

চেনা-অচেনা

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের স্কটিশ বংশোদ্ভূত জার্মান সাংসদ ডেভিড ম্যাকঅ্যালিস্টার বলেন: ‘‘ইউরোপে আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশেষ চিনি না, ওঁর সম্পর্কে বিশেষ জানি না৷ আমরা ওনার পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে খুব বেশি জানি না, কারণ উনি নিজেও এ বিষয়ে খুব বেশি বলেননি৷ যখন বিশদ কিছু বলেন, তখন স্বস্তির চেয়ে শঙ্কাই বেশি হয়৷’’

ম্যাকঅ্যালিস্টার ইউরোপীয় সংসদের এমন একটি গোষ্ঠীর সভাপতি, যাদের কাজ হলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিসাধন৷ ম্যাকঅ্যালিস্টার আরো বললেন, ‘‘ইউরোপে আমরা স্বভাবতই হিলারি ক্লিন্টনকে বেশি চিনি৷ উনি জোরালো আন্তঃ-অতলান্তিক সম্পর্কে বিশ্বাসী৷ ওঁর সঙ্গে সহযোগিতা থেকে আমরা অনেক কিছু পেতে পারি৷’’ সাবেক মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ইউরোপের বহু রাজনীতিকের ব্যক্তিগত পরিচয় হয়েছে৷ ইউরোপ তাঁর কাছ থেকে পরম্পরা প্রত্যাশা করে৷

‘ট্রাম্প তো আর পোপ হতে চাননি’

ব্রাসেলসে ট্রাম্পের যে কোনো ফ্যান, বা ভক্তই নেই, এমন নয়৷ বিশেষ করে দক্ষিণপন্থি রাজনীতিকদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে৷ ব্রিটিশ সাংসদ নাইজেল ফারাজ ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচার সভাতেও আবির্ভূত হয়েছেন৷ ফারাজ ছিলেন ব্রেক্সিটের পথিকৃৎদের মধ্যে অন্যতম; তিনি চান এক ‘স্বাধীন’ ব্রিটেন৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পও এভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্বাধীনতার’ উপর জোর দিয়েছেন৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে বিভিন্ন ‘সেক্সিস্ট’ মন্তব্য করে মহিলা ভোটারদের ক্ষিপ্ত করেছেন, সে সম্পর্কে ফারাজ বলেছেন, ‘‘সব সত্ত্বেও ট্রাম্পের একটা সততা আছে৷ উনি যা, উনি তা-ই৷ উনি তো আর পোপ হতে চাননি, উনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছেন৷’’

অন্য দিকে ট্রাম্পও ব্রেক্সিটের প্রশংসা করেছেন৷ তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করেন৷

‘ঈশ্বর আমাদের মঙ্গল করুন’

ক্লিনটন আর ট্রাম্পের মধ্যে একটি টেলিভিশন বিতর্ক শোনার পর প্রবীণ জার্মান অর্থমন্ত্রী ভোলফগাং শয়েবলে বলেন, ‘‘এই যদি আমাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবার পদ্ধতি হয়, তাহলে ঈশ্বর আমাদের মঙ্গল করুন৷’’ জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘হেট প্রিচার’ বলে অভিহিত করেছেন৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি পর্যায়ে কোনো মন্তব্য শোনা না গেলেও, ট্রাম্প যে ক্লিনটনের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছেন, তাতে একটা স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে৷ এক ইউরোপীয় কূটনীতিক যেমন আলাপচারির সময় বলেছেন, ‘‘ট্রাম্প তো আসলে পাগল৷ ক্লিনটনের সব কিছু ভালো না হলেও, উনি নির্ভরযোগ্য৷’’

প্রতিবেদন: ব্যার্ন্ড রিগার্ট/এসি
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

প্রিয় পাঠক, আপনার কি কিছু বলার আছে? জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য