আল বকরের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান
২৫ অক্টোবর ২০১৬অবশ্য জার্মানির স্যাক্সনি রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী আবারও দাবি করেছেন, তাঁর রাজ্যের পুলিশ জাবের আল বকরকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেনি৷ স্যাক্সনি নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে কারাগারে থাকা অবস্থায়ই আত্মহত্যা করেন আল বকর৷ কী কারণে সন্দেহভাজন জঙ্গি ও সিরীয় শরণার্থী জাবের আল বকর আত্মহত্যা করেছেন, তা অনুসন্ধান করছে চার সদস্যের এই স্বতন্ত্র তদন্ত কমিটি৷ তাঁরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, এক্ষেত্রে নিরাপত্তাবাহিনীর কী কী ভুল হয়েছিল৷ চার সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক বিচারপতি হার্বার্ট ল্যান্ডাও৷
লাইপজিশের কারাগারে ২২ বছরের ঐ সিরীয় তরুণের আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে৷ ধরা পড়ার আগে কেমনিৎসে অভিযান চালিয়ে আল বকরকে গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছিল জার্মানির পূর্বের ঐ রাজ্যের পুলিশ৷ গোয়েন্দা পুলিশের কাছে খবর ছিল যে, জাবের জার্মানিতে বার্লিন বিমান বন্দরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে৷ তাই গোড়া থেকেই জাবেরের উপর নজর রাখা হচ্ছিল৷
সোমবার নতুন তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে৷ এ বছরের শেষ নাগাদ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে বলে আশা করছে৷ তদন্ত কমিটিতে সাবেক বিএফভি প্রেসিডেন্ট হাইন্স ফ্রম এবং কারা-মনোবিদ ক্যাথারিনা বেনেফেল্ড কার্সটেন ও ব্র্যান্ডেনব্যুর্গ পুলিশ প্রধান য়্যুর্গেন ইয়াকবও রয়েছেন৷
গত ৮ অক্টোবর ৫০০ গ্রাম বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছিল জাবর আল বকরের অ্যাপার্টমেন্টে৷ ৩৬ ঘণ্টা পরে তাঁকে লাইপজিশ থেকে আটক করা হয়৷ ১২ অক্টোবর আল-বকর নিজে জেলখানায় টি-শার্ট দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে৷ তার মৃত্যুর আগে যে মনোবিদ আল বকরের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তিনি জানিয়েছেন, আল বকরের আত্মহত্যার মনোভাব তার মধ্যে ছিল, কারণ সে জেলখানায় যাওয়ার পর থেকে খাবার ও পানীয় বর্জন করেছিল৷
স্যাক্সনি রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টাইনসল' তিলিচ সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘এক্ষেত্রে সরকার বা নিরাপত্তাকর্মীদের কোনো ব্যর্থতা নেই৷ আর এটাকে ব্যর্থতা ভাবা হলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর দিকেও আমাদের তাকাতে হবে৷'' তবে তিনি এ-ও বলেন, মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে৷ তিনি চান তদন্ত কমিটি সেই ভুলগুলো খুঁজে বের করুক৷ তাহলে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন৷ তবে বকরের পরিবারের আইনজীবী শনিবার জার্মান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আবু বকরের মৃত্যুর জন্য জার্মান বিচার ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছে তার পরিবার৷''
বকরের মৃত্যুর ঠিক পরেই ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দামেস্ক থেকে তার ভাই জানিয়েছিলেন, তিনি মনে করেন পুলিশ তার ভাইকে হত্যা করেছে৷ তবে হামলা পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহে খলিল নামে এক ব্যক্তি এখনও আটক রয়েছে৷ পুলিশের ধারণা, হামলার বিস্ফোরক ও রাসায়নিক দ্রব্য কিনতে বকরকে সাহায্য করেছিল খলিল৷
বেন নাইট/এপিবি
আশীষ চক্রবর্ত্তী