1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ষোড়শীর স্বপ্ন: ছোটদের নিয়ে কাজ করা

২৫ অক্টোবর ২০১৬

তানজানিয়ায় ভিক্টোরিয়া লেকের তীরে মোয়াঞ্জা শহর৷ সেখানে পরিবেশ দূষণ ক্রমেই সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে - আর তার মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে এক ষোলো বছরের কিশোরী – একা নয়, সকলকে সাথে নিয়ে৷ রেডিও-র মাইক্রোফোন তার হাতিয়ার৷

https://p.dw.com/p/2RcXY
গার্ট্রুড ক্লিমেন্ট
ছবি: DW

ছোটদের নিয়ে কাজ করা

তানজানিয়ার একটি ছোট্ট শহরের নাম মোয়াঞ্জা, প্রখ্যাত লেক ভিক্টোরিয়া বা ভিক্টোরিয়া হ্রদের চারপাশের পাহাড়গুলোর গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে৷ শহরের স্থানীয় বেতারকেন্দ্র থেকে সম্প্রতি একটি নতুন কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে, গার্ট্রুড ক্লিমেন্ট-এর কণ্ঠ৷ ষোড়শী গার্ট্রুড তার বন্ধুদের নিয়ে একটি পরিবেশ সংক্রান্ত সাপ্তাহিক পরিবেশনা করে থাকে৷ গার্ট্রুড বলে, ‘‘অনুষ্ঠানটা ছোটদের জন্য৷ আমাদের প্রোগ্রামের নাম হল ‘সায়ারি ইয়া ওয়াটোটো'৷ আজ অনুষ্ঠানের দু'টি অংশ ছিল: প্রথমে ছোটদের জন্য খবর, তারপর আলোচনা৷ আলোচনায় আমরা পানিসম্পদ রক্ষা নিয়ে কথা বলেছি৷''

লোকে শুনছেও৷ মাত্র এক ঘণ্টায় ৭০টি মেসেজ পেয়েছে গার্ট্রুড৷ গার্ট্রুড জানাল, ‘‘আমার শ্রোতারা রাস্তাঘাটে যা দেখছে, তা বদলানোর চেষ্টা করবে বলে আমার ধারণা৷ আমাদের প্রোগ্রাম শুনে৷ যেমন পরিবেশ সুরক্ষা, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, পানিসম্পদ রক্ষা৷'' আলোচনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ – কেননা এলাকাটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত হলেও, তলায় তলায় সমস্যার কোনো কমতি নেই৷ হ্রদের জল বিশেষভাবে দূষিত, মাছও ফুরিয়ে আসছে৷

প্রতি সপ্তাহে গার্ট্রুড সেই সব মানুষদের কথা শোনায়, যারা রোজ পরিবেশজনিত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন৷ গার্ট্রুড  শোনাল,‘‘মোয়াঞ্জার এই এলাকার এক জেলের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম৷ তাঁর নাম কিরুম্বা মালোনি৷ ওখানে যে ঘাস দেখছেন, তার কথা বলছিলেন উনি – আর মানুষজন কীভাবে লেকে তাদের ময়লা ফেলছে৷'' গার্ট্রুডের রিপোর্টিং এতো কার্যকরী যে তা জাতিসংঘেরও নজরে পড়েছে৷ নিউ ইয়র্কের একটি শীর্ষবৈঠকে শিশুদের হয়ে কথা বলেছিল গার্ট্রুড৷

ছোটদের কাছে বড়দের শেখা

কীভাবে পরিবর্তন আনতে হয়, ছোটরা বড়দের তা শেখাতে পারে বলে গার্ট্রুডের ধারণা৷ আজ তার দল ফটো তুলছে বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত সমস্যার একটি মানচিত্র তৈরির কাজে৷ গার্ট্রুডের প্রজন্ম কীভাবে সক্রিয় হতে পারে, তা দেখাতে চান ওদের প্রশিক্ষক৷ পরিবেশ আন্দোলনকারী ব্রাইটিয়াস টাইটাস বললেন, ‘‘ছোটদের একটি বড় ভূমিকা আছে, কারণ ছোটরা পরিবর্তনের দূত হতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস৷ ছোটরা অন্যান্য বাচ্চাদের শেখাতে পারে, হয় তারা রেডিও-টেলিভিশনে যে প্রোগ্রাম করছে, তার মাধ্যমে; নয়তো স্কুলে, যেখানে সকলের দেখাসাক্ষাৎ হয়৷''

স্কুলেও গার্ট্রুড খুব মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনো করে৷ তার স্বপ্ন হল পড়াশুনা শেষ করে সে একজন পেশাদারি সাংবাদিক হবে৷ কিন্তু বড় হওয়ার পরেও সে ছোটদের কথা ভুলবে না৷ সে বলে, ‘‘বড় হয়ে আমি ছোটদের প্রতিভা নিয়ে কাজ করতে চাই৷ কেননা দেখছেন তো, আমাদের দেশে ছোটদের প্রতিভা সম্পর্কে কারো কোনো আগ্রহ নেই, বিশেষ করে যে সব ছেলেমেয়ে দার-এস-সালামের বাইরে থাকে, গ্রামে থাকে, অন্যান্য এলাকায় থাকে৷ সে সব জায়গার ছেলেমেয়েদেরও নানা প্রতিভা আছে, কিন্তু তাদের সাহায্য করার মতো কেউ নেই, যাতে তারা তাদের স্বপ্ন সফল করতে পারে৷ আমি সেই সব ছেলেমেয়েদের সাহায্য করতে চাই৷''

তাদের বয়স যতই কম হোক না কেন, শিশুদের হাতেই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ বলে গার্ট্রুডের ধারণা৷

লুসি টেলর/এসি

সঞ্জীব বর্মন

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান