কোন কোন দেশে রয়েছে শিশু যোদ্ধা
পৃথিবীর বিভিন্ন কোণায় চলছে সংঘর্ষ৷ আর এসব সংঘর্ষে শিশুরা যে কেবল সহিংসতার শিকার হচ্ছে তা নয়, তাদের হাতেও উঠছে হাতিয়ার৷ ছবিঘরে থাকছে সেসব দেশের কথা৷
ভারত
ছত্তিশগড়ের মতো মাওবাদীর প্রভাব আছে এমন এলাকাগুলোতে অনেক শিশুর হাতে বন্দুক তুলে দেয়া হয়েছে৷ পুলিশের সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষে বেশ কিছু শিশু নিহতও হয়েছে৷
আফগানিস্তান
আফগানিস্তানে তালিবানসহ আরো কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন শিশুদের যুদ্ধে শামিল করে৷ বিশেষ করে এদের আত্মঘাতী হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷ এমনকি আফগান পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে শিশুদের পুলিশে ভর্তি করানোর৷
মিয়ানমার
মিয়ানমারে বহু বছর আগে থেকে শিশুদের জোর করে সেনাবাহিনীতে ভর্তি করিয়ে দেয়ার চল রয়েছে এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকায় লড়াইয়ে পাঠানো হয় তাদের৷ এদের মধ্যে ১১ বছর বয়সি শিশুও রয়েছে৷
মধ্য আফ্রিকা
মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে ১২ বছরের শিশুদের বিভিন্ন বিদ্রোহী দলে বন্দুকের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷
চাদ
সেই দেশে কেবল বিদ্রোহী দলগুলোই নয়, সরকারি দলের বিভিন্ন সংগঠনেও শিশুদের যোদ্ধা হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷ ২০১১ সালে সরকার সেনাবাহিনীতে শিশুদের ভর্তি না করার বিষয়ে সরকার এক সিদ্ধান্তে পৌঁছায়৷
কলম্বিয়া
দক্ষিণ অ্যামেরিকার এই দেশটিতে সম্প্রতি গৃহযুদ্ধ শেষ হয়েছে৷ কিন্তু এর আগে ফার্ক বিদ্রোহীরা শিশুদের যোদ্ধা হিসেবে প্রশিক্ষণ দিত৷
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান অফ কঙ্গো
যুক্তরাষ্ট্রের এক জরিপ বলছে, এক সময় ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান অফ কঙ্গোয় ৩০ হাজার কিশোর-কিশোরী বিভিন্ন গ্রুপের হয়ে লড়াইয়ে অংশ নিত৷ এমনকি যৌনদাসী হিসেবেও কিশোরীদের ব্যবহার করত এসব গোষ্ঠী৷
ইরাক
আল কায়েদা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে শিশুদের কেবল যোদ্ধা হিসেবেই নয়, গুপ্তচর হিসেবেও ব্যবহার করে৷ এছাড়া আত্মঘাতী হামলায় শিশুদের ব্যবহার করে তারা৷
সোমালিয়া
জঙ্গি সংগঠন আল শাবাব ১০ বছরের শিশুদেরও জোর করে তাদের দলের যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তোলে৷ বেশিরভাগ সময়ই শিশুদের স্কুল বা বাড়ি থেকে অপহরণ করে দলে নেয়া হয়৷
দক্ষিণ সুদান
২০১১ সালে দক্ষিণ সুদান আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পর শিশুদের সেনাবাহিনীতে ঢোকানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷ তারপরও বেশ কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী শিশুদের ব্যবহার করছে৷