1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুকে রামপাল নিয়ে আন্দোলন

৩০ আগস্ট ২০১৬

ভারতের সহায়তায় রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ সরকার৷ সুন্দরবনের খুব কাছে প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে অ্যাক্টিভিস্টদের আন্দোলনও অব্যাহত রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1Jr1Q
সুন্দরবন
ছবি: Imago/UIG

গত কয়েকবছর ধরেই পরিবেশবিদদের অনেকে এবং অ্যাক্টিভিস্টরা দাবি করে আসছেন, সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হলে তা ধীরে ধীরে সুন্দরবনকে ধ্বংস করে দেবে৷ তাদের এই দাবির পক্ষে, বিপক্ষে নানা রকম তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে৷ আর এই আলোচনার এক বড়ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ফেসবুক৷

পরিবেশ রক্ষায় রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধীতা নিয়ে ফেসবুকে প্রচারণায় যেসব পাতা নেতৃত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম ‘‘সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চাই না'' ফেসবুক পাতাটি৷ ডয়চে ভেলের দ্য বব্স প্রতিযোগিতায় মনোনয়ন পাওয়া সুন্দরবন বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত পাতাটি থেকে নিয়মিত বিভিন্ন আপডেট প্রকাশ করা হচ্ছে৷ গত ১৬ আগস্ট এই পাতা থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয় যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়৷ ভিডিওতে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একদল তরুণ বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূতের গাড়িবহরের সামনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে৷ ভিডিওটি ফেসবুকে প্রায় দশ লাখ বার দেখা হয়েছে৷ গত ২০ আগস্টে শহীদ মিনারের সামনে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি টেলিভিশিন চ্যানেলগুলো সরাসরি সম্প্রচার না করায় এই পাতা থেকে তা ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷

তবে শুধু পাতা নয়, অ্যাক্টিভিস্ট বাকিবিল্লাহ, অরুপ রাহীসহ বেশ কয়েকজন নিয়মিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছেন৷ তাদের পোস্ট করা বিভিন্ন লেখা, ছবি গুরুত্ব পাচ্ছে সাধারণ মানুষের আলোচনায়৷ একইভাবে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন দরকার সেটা নিয়েও মতামত জানাচ্ছেন কেউ কেউ৷ তাদের মধ্যে সরকারি দলের সমর্থকরাও রয়েছেন৷

টুইটারেও একাধিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে৷ সুন্দরবন নিয়ে ভারতীয় আলোকচিত্রী আরোতি কুমার রাওয়ের বিভিন্ন পোস্ট টুইটারে মাঝেমাঝে সাড়া জাগায়৷ ইন্সটাগ্রামেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি৷ এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সুন্দরবন রক্ষায় আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে৷ আভাজে সম্প্রতি চালু করা একটি পিটিশনে সুন্দরবন রক্ষায় ইউনেস্কোর সহায়তা পাওয়া হয়েছে৷

আরাফাতুল ইসলাম
আরাফাতুল ইসলাম, ডয়চে ভেলেছবি: DW/Matthias Müller

সুন্দরবন রক্ষায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বিরোধী আন্দোলন অনলাইনে বেশ গতি পাচ্ছে৷ সেই তুলনায় রাজপথে সাড়া কম৷ বিশেষ করে বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো এই আন্দোলন থেকে নিজেদের দূরে রেখেছে৷ ফলে ফেসবুকে জনগণের যে প্রতিক্রিয়া তা রাজপথে কমই দেখা যাচ্ছে৷

আপনি কিছু যোগ করতে চান? লিখুন মন্তব্যে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য