বিশ্বের দীর্ঘতম রেলওয়ে টানেল
জাপানকে হারিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলওয়ে টানেলের দেশ হলো সুইজারল্যান্ড৷ আল্পসের নীচে ৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল তৈরি করেছে তারা৷
১৭ বছর লেগেছে
টানেলের নাম ‘গটহার্ড বেস টানেল’৷ ১৭ বছর ধরে প্রায় ২৮ মিলিয়ন টন পাথর খুঁড়ে টানেলটি তৈরি করা হয়েছে৷ এয়ার্স্টফেল্ড এবং বোডিও নামের দুটি গ্রামকে সংযুক্ত করেছে ৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল৷
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই
টানেল তৈরিতে প্রকৌশলী, ভূতত্ত্ববিদ ও কন্ট্রাক্টর মিলিয়ে কাজ করেছেন প্রায় ২,৬০০ জন৷ নির্দিষ্ট সময়ের এক বছর আগেই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে, তবে ব্যয় হয়েছে নির্দিষ্ট অর্থের চেয়ে সামান্য বেশি৷
পেছনে পড়ল জাপান
১৯৮৮ সালে জাপানে সেইকান টানেলের উদ্বোধন হয়েছিল৷ এর দৈর্ঘ্য ৫৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার৷ অর্থাৎ সুইজারল্যান্ডের টানেলটি দৈর্ঘ্যে তিন কিলোমিটারের কিছু বেশি বড়৷ ফলে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলওয়ে টানেলের রেকর্ডটি এখন সুইজারল্যান্ডের৷
আরেক বিস্ময় ইউরোটানেল
আধুনিক বিশ্বের সাত আশ্চর্যের একটি বলা হয় চ্যানেল টানেলকে৷ ইউরোটানেলের কেতাবি নাম এটি৷ ফ্রান্স আর ইংল্যান্ডকে যুক্ত করা এই টানেলের দৈর্ঘ্য ৫০ দশমিক ৫ কিলোমিটার৷ এর মধ্যে ৩৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার অংশ গেছে সাগরের নীচ দিয়ে৷ ফলে সাগরতল দিয়ে যাওয়া টানেলের মধ্যে এটিই দীর্ঘতম৷
সুইজারল্যান্ডকেও পেছনে ফেলবে যে টানেল
ইটালি আর অস্ট্রিয়ার সীমান্তে অবস্থিত ব্রেনার পাস (ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে) এলাকায় একটি টানেল তৈরির কাজ চলছে৷ ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ব্রেনার বেস টানেল’ নির্মাণের কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালে৷
জার্মানির ‘লজ্জা’
সুইজারল্যান্ডের টানেলটি নির্মাণে জড়িত ছিলেন অনেক জার্মান নাগরিক৷ টানেলের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের এক বছর আগেই শেষ হলেও জার্মানিতে বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প আছে যেগুলোর কাজ নির্দিষ্ট সময়ের পরও শেষ হয়নি৷ যেমন বার্লিনের নতুন বিমানবন্দর৷ এর নির্মাণকাজ সাড়ে চার বছর আগে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও হয়নি৷ ছবিই তার প্রমাণ৷