1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বউ পেটানোর' নিয়ম!

২০ মে ২০১৬

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অবশেষে যখন বাড়ির বউদের ‘কাজের লোক' নয়, পরমাত্মীয়ার সম্মান দিতে বললো, তখনই সৌদি আরবের একটি সরকারি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করলো ‘বউ পেটানোর' নিয়ম৷ বিষয়টা জানাজানির পর থেকেই ঝড় উঠেছে বিশ্বে৷

https://p.dw.com/p/1IqpB
প্রতীকী ছবি
ছবি: picture-alliance/dpa/M.Gambarini

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নারীবাদী, মানবদরদী সকলেই এর প্রতিবাদ করেছেন৷ প্রশ্ন তুলেছেন, কোনো দেশের সরকারি টেলিভিশন স্ত্রীয়ের ওপর নির্যাতন চালানোর এমন একটা অনুষ্ঠান প্রচার করলো কী করে?

ভিডিও-টা ‘ক্লিক' করলে ঘটনাটা আরো পরিষ্কার হবে৷ দেখবেন সেখানে বক্তব্য রাখছেন খালেদ আল-সাকাবি নামে দেশটির এক থেরাপিস্ট বা মনস্তত্ত্ববিদ৷ ভিডিও-তে তিনি নানাভাবে ব্যাখা করছেন একজন পুরুষ কোন কোন কারণে তাঁর স্ত্রীকে মারবেন৷ স্ত্রীকে মারধর করা এবং শাসন করা যে স্বামীর অধিকার, তাও বেশ জোর গলা নিয়েই দাবি করেছেন সাকাবি৷ বলেছেন, স্ত্রীকে মারা যেতেই পারে৷ তবে যে সব কারণে ইসলাম স্ত্রীকে মারার অনুমতি দেয়, শুধুমাত্র সেই সব কারণে মারতে হবে৷ সাকাবির কথায়, ‘‘শৃ‌ঙ্খলার জন্য স্ত্রীকে মারা যেতে পারে, নিজের রাগ প্রকাশ করার জন্য নয়৷''

সাকাবির যুক্তি, স্বামী যখন স্ত্রীকে মারবেন, তখন এটা বোঝানোর জন্যই মারবেন যে স্বামীর সঙ্গে তিনি যে ব্যবহার করেছেন, তা ঠিক হয়নি৷ অর্থাৎ অনুচিত ব্যবহারের জন্যই মার খাচ্ছেন বউটি৷ তবে এ কথা বলেই ক্ষান্ত হননি এই থেরাপিস্ট৷ পুরুষদের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি৷ বলেছেন, ‘‘স্ত্রীকে মারধর শুরুর আগে তাঁকে মনে করিয়ে দিন যে, আল্লাহ্‌র নির্দেশ অনুযায়ী স্বামীর অধিকার এবং স্ত্রীয়ের কর্তব্য কী কী৷''

এই না হলে সৌদি আরব!

ডিজি/এসি

শারীরিক নির্যাতন করলে নারী এবং পুরুষ – উভয়ের মর্যাদাই কি ক্ষুণ্ণ হয় না? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান