1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিঙ্গাপুরকে তদন্তে সহায়তা করছে বাংলাদেশ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৪ মে ২০১৬

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি ‘জঙ্গিদের' আটকের পর সেখানকার তদন্তকারী সংস্থাকে সহায়তা করছে বাংলাদেশ৷ জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাই-কমিশনার মাহবুব উজ জামান৷ তবে ‘‘আটকরা ইসলামিক স্টেটের সদস্য কিনা জানার জন্য তদন্ত দরকার৷''

https://p.dw.com/p/1Ihex
প্রতীকী ছবি
ছবি: picture alliance/abaca

সিঙ্গাপুরে আটক আট বাংলাদেশির ছবি প্রকাশ করে ৩রা মে সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে, তারা ইসলামিক স্টেট ইন বাংলাদেশ বা আইএসবি-র সদস্য৷ শুধু তাই নয়, সিঙ্গাপুরে বসে তারা নাকি বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাত এবং ব্যক্তি ও স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছিল৷

সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য এছাড়াও পাঁচজন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে, যাদের পরে ঢাকায় আটক করা হয়৷ সিঙ্গাপুর ও ঢাকায় আটক এই ১৩ জন বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন৷

[No title]

এর আগেও গত জানুয়ারি মাসে আরো ২৭ জন বাংলাদেশিকে সিঙ্গাপুরে আটক করা হয় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে৷ সে সময়ও সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল যে, তারা আল-কায়েদা ও আইএস-এর অনুগত৷

শেষ দফায় সিঙ্গাপুরে আটক আটজন ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছিলেন৷ তারা সবাই স্থানীয় কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও নৌ-শিল্পখাতে কাজ করতেন৷

সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘স্ট্রেইট টাইমস'-এর এক প্রতিবেদনে সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে বলা হয়, আটক আটজন তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের হয়ে কাজ করতে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে চেয়েছিল৷ তবে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমানোটা কঠিন হয়ে পড়ার কারণে শেষ পর্যন্ত তারা মত পাল্টান৷ তারা দেশে ফিরে সহিংস কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সরকারকে উৎখাত করে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং তা ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস ঘোষিত খেলাফতের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছিলেন৷

তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা কাগজপত্রে দেখা যায় যে, তারা বাংলাদেশের ব্যক্তি ও স্থাপনায় হামলারও পরিকল্পনা করেছিলেন৷ এছাড়া তাদের কাছে গোলা-বরুদ তৈরি ও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের ক্যাটালগও পাওয়া যায় বলে খবর৷

গত জানুয়ারিতে আটক ২৭ জন বাংলাদেশি সম্পর্কে সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানা যায় যে, তারা নিয়মিত সাপ্তাহিক ভিত্তিতে পাঠচক্র চালাতেন৷ সেখানে তারা চরমপন্থি ধারণা ও মতামত নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতেন৷ এমনকি এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বইপত্রও বিনিময় করতেন তারা৷ স্বপ্ন দেখতেন তারা মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে জেহাদি কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার৷ একইসঙ্গে তাদের ইচ্ছে ছিল, বাংলাদেশে ফিরে এসে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জেহাদি কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া৷

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাই-কমিশনার মাহবুব উজ জামান ডয়চে ভেলেকে জানান, সন্ত্রাস-বিরোধী কর্মকাণ্ডে সিঙ্গাপুর সরকারকে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ৷ তবে এরা ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর সদস্য কিনা – তা নিশ্চিত হতে আরো তদন্ত প্রয়োজন৷

তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশ যে কোনো ধরনের উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করে৷''

তিনি বলেন, ‘‘এখানে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের কোনো সমস্যা হবে না৷ আমরা নিয়মিত এখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি৷ আর শ্রমিকদের বলছি, বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে৷ এ জন্য আমরা প্রচারণাও চালাচ্ছি৷''

ঢাকা মহানগর গেয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন এ প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের এ সমস্ত মানুষ সিঙ্গাপুরে গিয়ে উগ্রপন্থার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন৷ বাংলাদেশে তাদের এ ধরনের কোনো অতীত রেকর্ড নেই৷ এর আগে যে ২৭ জনকে আটকের পর ফেরৎ পাঠানো হয়েছিল, তদন্তে তাদের আইএস-এর সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া যায়নি৷''

আপনাদের কি মনে হয়? সিঙ্গাপুরের এই নির্মাণ শ্রমিকরা কি সত্যিই জঙ্গি দলের সঙ্গে যুক্ত? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য