1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিউবায় নতুন ইতিহাসের সূচনা

২৩ মার্চ ২০১৬

কিউবা-যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে ৮৮ বছরের বন্ধ্যাত্ব ঘুচালেন বারাক ওবামা৷ কিউবা সফরের শেষলগ্নে আশার কথাও শুনিয়েছেন তিনি৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আশা – এ সফরের মাধ্যমে অ্যামেরিকা অঞ্চলে শীতল যুদ্ধেরও চির অবসান হবে৷

https://p.dw.com/p/1II6n
কিউবায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা
ছবি: Reuters/C.Barria

শেষ হলো বারাক ওবামার ঐতিহাসিক কিউবা সফর৷ সফরটি ঐতিহাসিক, কেননা, ৮৮ বছরে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট পা রাখলেন কিউবায়৷ তিন দিনের সফরে ব্যস্ত সময়ই কাটিয়েছেন ওবামা৷ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনস্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়েই হাভানায় গিয়েছিলেন৷ সফরের শেষ দিনে হাভানার গ্র্যান্ড থিয়েটারে দেয়া ভাষণে সফরটিকে ফলপ্রসূ বলেই বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট৷ ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘‘বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে অ্যামেরিকা অঞ্চলে শীতল যুদ্ধের ভষ্ম কবর দিতে এ দেশে এসেছি আমি৷''

১৯৬১ সালে কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশটির ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র৷ দু'দেশের বৈরিতা তারপর থেকে আর কমেনি৷ তবে দ্বিতীয় দফা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবার পর ওবামা সম্পর্কোন্নয়নের পদক্ষেপ নেন৷ তারই ফলশ্রুতিতে ৮৮ বছরের বন্ধ্যাত্ব ঘুচিয়ে তাঁর এই কিউবা সফর৷

গ্র্যান্ড থিয়েটারে দেয়া ভাষণে ওবামা আরো বলেন, ২১ শতকে এসে শীতল যুদ্ধের সময়ের প্রতিপক্ষকে একঘরে করে রাখার কৌশল পুরোপুরিভাবে কার্যকারিতা হারিয়েছে৷ এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতি কিউবার ওপর থেকে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বানও জানান৷ গ্র্যান্ড থিয়েটার তখন করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে৷

হাভানার গ্র্যান্ড থিয়েটারে কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো
ছবি: Reuters/J.Ernst

ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেছেন বারাক ওবামা৷ পাশাপাশি কিউবায় মানবাধিকার পরিস্থিতি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অভাব নিয়ে মন্তব্য করতেও ভোলেননি৷ তিনি বলেন, ‘‘আশা করি এ দেশের প্রতিটি নাগরিক নির্ভয়ে কথা বলতে পারবে৷''

কিউবা সফর শেষে বুধবার আর্জেন্টিনায় গিয়েছেন বারাক ওবামা৷

এসিবি/ডিজি (এপি,রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য