1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ইউরোপে গণতন্ত্র বিপন্ন’

৪ জানুয়ারি ২০১৬

প্রথমে হাঙ্গেরি, তারপর পোল্যান্ড৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের একের পর এক দেশের চরমপন্থি সরকার এমন সব পদক্ষেপ নিচ্ছে, ইইউ-র মৌলিক মূল্যবোধের সঙ্গে যা খাপ খায় না৷ এবার শাস্তির তোড়জোড় শুরু হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1HXav
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Keplicz

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক রাষ্ট্রজোট বা ক্লাব, যার ২৮টি সদস্য দেশকে কিছু বিধিনিয়ম মেনে চলতে হয়৷ গণতন্ত্র, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধ যার মধ্যে অন্যতম৷ কিন্তু গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জিতে চরমপন্থি সরকার ক্ষমতায় এসে সেই গণতন্ত্রের ভিত নড়িয়ে দিলে কী করা যায়? প্রথমে হাঙ্গেরি, তারপর পোল্যান্ডে ঠিক সেটাই ঘটছে৷ বিচার বিভাগ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে দুই দেশের সরকার৷ ফলে নড়েচড়ে বসছে ইইউ কমিশন৷ চলতি মাসের মাঝামাঝি আনুষ্ঠানিকভাবে এক প্রক্রিয়া শুরু হবে, যার আওতায় পোল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ইউরোপীয় মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে৷ পরীক্ষায় ফেল করলে প্রথমে এ বিষয়ে সরাসরি সংলাপ শুরু হবে৷ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ইইউ-র মধ্যে পোল্যান্ডের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হতে পারে – যা হবে এক অভূতপূর্ব ঘটনা৷

পোল্যান্ডের মানুষও বর্তমান পরিস্থিতির তাৎপর্য বুঝতে পারছে৷ এমন এক দলকে ক্ষমতায় এনে অস্বস্তিতে পড়েছে জনসাধারণের একাংশ৷ একাধিক শহরে সরকার-বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে৷

পোল্যান্ডের ক্ষমতাসীন পিআইএস দল অবশ্য এই অভিযোগ মানতে প্রস্তুত নয়৷ তাদের মতে, দেশে গণতন্ত্র খর্ব করা নয়, ব্রাসেলস-এর ক্ষমতা খর্ব করাই তাদের উদ্দেশ্য৷

এই লক্ষ্যে তারা ব্রিটেনের সঙ্গে এক লেনদেনের প্রস্তাব দিয়েছে৷ ব্রিটিশ সরকার ইইউ-তে থেকে যাবার পূর্বশর্ত হিসেবে যে সব সংস্কারের দাবি করছে, পোল্যান্ডের সরকার তার প্রতি সমর্থন দেখাতে প্রস্তুত৷ এর বদলে পোল্যান্ডে ন্যাটো বাহিনীর শক্তি বাড়াতে ব্রিটিশ সমর্থন চায় সে দেশ৷

পোল্যান্ডকে ঘিরে বর্তমান অস্বস্তির ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ ও ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ জার্মানির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা চলছে৷ ঐতিহাসিক কারণে জার্মানির পক্ষে পোল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়৷ তাই ব্রাসেলস-এ ইউরোপীয় কমিশনকেই এক্ষেত্রে চালকের আসনে রাখার পক্ষে সওয়াল করছে অনেক মহল৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

ইউরোপে গণতন্ত্র কি সত্যিই বিপন্ন? জানান আপনার মতামত, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য