1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০১৬ সালে বাংলাদেশের রাজনীতি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

২০১৫ সালের শুরুর দিকে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে বেশ কয়েকজন মানুষের প্রাণ গিয়েছিল৷ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল সাধারণ মানুষের চলাফেরা৷ কিন্তু যে কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেই কারণটি এখনও থেকে যাওয়ায় আশঙ্কা থেকেই গেছে৷

https://p.dw.com/p/1HUQE
Unruhen in Bangladesch 05.01.2015
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS.com

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন৷ বেশিরভাগ আসনে প্রার্থী না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নির্বাচিত হন সাংসদরা৷ এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক বছর পূর্তিতে ২০১৫ সালের শুরু থেকেই সরকার পতন ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে বিএনপি৷ ফলে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা, যার বলি হয় সাধারণ মানুষ৷

একসময় কোনো সাফল্য ছাড়াই আন্দোলনের পথ ছেড়ে আসতে বাধ্য হয় বিএনপি৷ তবে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি থেকে সরে আসেনি তারা৷ শুরুতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির কথা বললেও এখন তারা বলছে, সব দলের অংশগ্রহণে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করলেই হবে৷ তারা দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের বিরোধী অবস্থানে এখনো আছে৷ তবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে৷ ওদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের মন্ত্রীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, নির্বাচন হবে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে, ২০১৯ সালে এই সরকারেরই অধীনে৷

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এই মধ্যবর্তী বা নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি বিএনপি ২০১৬ সালে জোরাল করতে পারবে বলে মনে হয় না৷ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়া এবং অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তিতে রেখেছে৷ তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচনের দাবির উত্তাপ ছড়িয়ে দেয়া বিএনপির জন্য কঠিন হবে৷'' তিনি বলেন, ‘‘দেশের মধ্যে যে সব বিচ্ছিন্ন সহিংসতা হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলেও আওয়ামী লীগ এক ধরনের আত্মতুষ্টিমূলক অবস্থানেই থাকবে বলে মনে হয়৷''

শান্তনু মজুমদারের কথায়, ‘‘আমার মনে হয়, আগামীতে স্বাধীন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লড়াই হবে রাজনীতির প্রধান উপজীব্য৷ আমাদের সংসদ কার্যকর নয়, রাজনৈতিক দলগুলো কাজ করে না, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়৷ নব্বইয়ের পর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক যাত্রার যে সূচনা হয়েছিল, তা আমরা কাজে লাগাতে পারিনি৷ আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পিছনে সময় ব্যয় করেছি, কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় এই সব প্রতিষ্ঠানের দিকে কোনো নজর দেইনি, যা আমাদের আরো ভোগাবে৷''

অন্যদিকে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন৷ তবে ২০১৬ সালে সেই নির্বাচন হবে বলে আমি মনে করি না৷ কারণ বিএনপির রাজনৈতিক শক্তি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে৷ জনমতকে সংগঠিত করবে কে? সরকারের মধ্যে এখন একটা ‘থোরাই কেয়ার করি' ভাব আছে৷ তাঁরা মনে করছেন যে, তাঁরা দেশের উন্নয়নে অনেক কাজ করছেন৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের রাজনীতি কোনদিকে যাবে – তা এখন বলা অনেকটাই কঠিন৷ যদি কোনো কারণে শাসক দল আওয়ামী লীগ কোনো ঝামেলায় পড়ে তাহলে তারা হয়ত নির্বাচনের দিকে যাবে৷ কিন্তু সেটা কেমন নির্বাচন হবে, তা বলা মুশকিল৷''

বন্ধুরা, আপনার কী মনে হয়? আগামীতে বাংলাদেশের রাজনীতি কোনদিকে যাবে? লিখে জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান