1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাকমা ভাষায় চলচ্চিত্র

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশে চাকমা ভাষায় প্রথম চলচ্চিত্র ‘মর থেঙ্গারি' বা ‘মাই বাইসাইকেল' নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে সেনাবাহিনী৷ তাই ছবিটি শেষ পর্যন্ত সেন্সর বোর্ড পেরিয়ে প্রদর্শনের অনুমতি পাবে কিনা, তা নিয়ে হতাশায় আছেন পরিচালক অং রাখাইন৷

https://p.dw.com/p/1HNcm
Grünes Fahrrad
ছবি: picture-alliance/Wolfram Steinberg

অং রাখাইন ‘মাই বাইসাইকেল'-এর জন্য গত দশ বছর ধরে কাজ করলেও ছবির দৃশ্যধারণ শুরু করেন ২০১২ সালে৷ এরপর ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকার একটি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম প্রদর্শিত হয় ‘মর থেঙ্গারি'৷

ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাখাইন জানান, ‘‘বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে চাকমাদের জীবন নিয়েই চাকমা ভাষায় নির্মাণ করা হয়েছে এই চলচ্চিত্রটি৷ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বা তাদের জন্য আপত্তিকর কোনো চিত্র বা সংলাপ এই সিনেমায় নেই৷''

অং রাখাইন

‘‘ছবিতে শুধুমাত্র একটি প্রতীকী দৃশ্য আছে, যেখানে বাহিনীর সদস্যরা হেঁটে যাচ্ছেন৷ যদিও এটা বিশেষ কোনো বাহিনীকে নির্দেশ করে না৷'' এরপরেও ‘‘আমাকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাতে কিছু অংশ নিয়ে সেনাবাহিনীর আপত্তির কথা জানানো হয়'', বলেন অং রাখাইন৷

অন্যদিকে সেন্সর বোর্ডের সচিব মুন্সী জালালউদ্দিন জানান, ‘‘আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যে চিঠি পেয়েছি, তাতে সেনাবাহিনীর আপত্তির কথা বলা হয়েছে৷ চলচ্চিত্রটির সংলাপ এবং দৃশ্যায়নে সেনাবাহিনী নিয়ে আপত্তিকর বিষয় আছে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র ছাড়াই ২০১৪ সালে চলচ্চিত্রটি ঢাকায় দেখানো হয়, যা সেন্সর আইন বিরোধী৷ তারপরও আমরা সিনেমাটি সেন্সরের তালিকাভুক্ত করেছি৷ এমনকি সেন্সর শো-র সময়ও দেয়া হয়েছিল, তবে তা তথ্য মন্ত্রণালয় স্থগিত করেছে৷''

মুন্সী জালালউদ্দিন

পরিচালক অং রাখাইন জানান, ‘‘এরইমধ্যে আমার সিনেমাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হয়েছে৷ আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছে৷ আমি এখন বাংলাদেশে ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে দেখাতে চাই৷ কিন্তু সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র না পাওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না৷''

তাঁর কথায়, ‘‘আমি হতাশ হয়ে পড়ছি৷ কারণ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অজুহাত যুক্ত করা হচ্ছে৷ ২০১৪ সালে চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো করা হয়েছিল, ঠিক৷ কিন্তু সেই শো করতে তো সেন্সর ছাড়পত্র লাগে না৷ অথচ এখন এটাকেই আইন লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷

বন্ধুরা, আপনি কি ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে ‘মাই বাইসাইকেল' দেখতে চান? জানান আপনার মতামত, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য