1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি ব্লগারের অনশন ধর্মঘট

১২ ডিসেম্বর ২০১৫

ডয়চে ভেলের ‘‘বাকস্বাধীনতা পুরস্কার'' জয়ী সৌদি ব্লগার রাইফ বাদাউয়িকে অন্য একটি কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ এর প্রতিবাদে তিনি মঙ্গলবার থেকে অনশন ধর্মঘট শুরু করেছেন, বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী এনসাফ হায়দার৷

https://p.dw.com/p/1HLvm
Berlin Raif Badawi Demonstration
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Zinken

এনসাফ হায়দারের ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী, নতুন কারাগারটি হলো শাব্বাত সেন্ট্রাল, জেদ্দা সিটি থেকে ৮৭ কিলোমিটার দূরে একটি জনবিরল, পরিত্যক্ত এলাকায় অবস্থিত৷ যে সব বন্দিদের রায় চূড়ান্তভাবে নির্দ্দিষ্ট করা হয়েছে, সাধারণত তাদেরই এই কারাগারে রাখা হয় – লিখেছেন এনসাফ হায়দার৷ অথচ ‘‘সৌদি সরকার বারংবার ঘোষণা করেছেন যে, রাইফের মামলা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে এবং সুপ্রিম কোর্ট এ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেননি৷

এনসাফ হায়দার রাইফ বাদাউয়ির স্থানান্তরণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, কেননা গত ২৮শে নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের বিদেশ সচিব ইভ রসিয়ে জানিয়েছিলেন যে, বাদাউয়ির জন্য রাজক্ষমার আয়োজন করা হচ্ছে৷ কাজেই এবার বাদাউয়ির বেত্রাঘাতের দণ্ড আবার শুরু হতে পারে, বলে এনসাফ হায়দারের আশঙ্কা৷ তিনি আবার সৌদি বাদশা সালমান-এর প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাইফকে রাজক্ষমা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন৷

মুক্তির প্রচেষ্টা

বাদাউয়ি সৌদি জনজীবনে ধর্মের প্রভাব কমানোর জন্য অনলাইন আবেদন করেছিলেন৷ সৌদি সাইবার আইন ভঙ্গ ও ‘‘ইসলাম অবমাননার'' দায়ে তাঁকে ২০০৪ সালে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং দশ বছরের কারাদণ্ড এবং এক হাজার বেত্রাঘাতের দণ্ড দেওয়া হয়৷ এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাদাউয়িকে প্রথম ৫০টি বেত্রাঘাত সহ্য করতে হয় – যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের প্রতিবাদে উত্তরোত্তর বেত্রাঘাত স্থগিত রাখা হয়েছে৷

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মানবাধিকার সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, বাদাউয়িকে ‘‘প্রশাসনিক কারণে'' অন্য একটি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ তবে বাদাউয়ি অনশন ধর্মঘট শুরু করেছেন কিনা, সে'বিষয়ে অ্যামনেস্টি কিছু বলতে পারেনি৷

এনসাফ হায়দার তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে ক্যানাডায় বাস করেন৷ সেখানে তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে৷ এনসাফ হায়দার ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো-র প্রতি বাদাউয়ির জন্য একটি ‘নিরাপদ যাত্রা' ক্যানাডিয়ান পাসপোর্ট ইস্যু করার আবেদন জানিয়েছেন৷ তিনি সম্ভবত আগামী সপ্তাহে স্ট্রাসবুর্গে গিয়ে তাঁর স্বামীর হয়ে সাখারভ পুরস্কারটি গ্রহণ করবেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয় ‘ফ্রিডম অফ থট' বা স্বাধীন চিন্তার জন্য৷

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান