1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বাংলাদেশে আইএস-এর মতাদর্শের লোক আছে'

সমীর কুমার দে, ঢাকা১৯ অক্টোবর ২০১৫

‘‘ইসলামিক স্টেট-এর যেখান থেকে অর্থায়ন হয়, এখানে যারা আছে তাদের অর্থায়ন একই জায়গা থেকে হয়৷ মতাদর্শের খুব একটা পার্থক্য নেই৷ ফলে তারা জঙ্গিবাদ বিস্তারের সব চেষ্টাই করছে বাংলাদেশে৷'' ডিডাব্লিউ-কে বলেন ডা. ইমরান এইচ সরকার৷

https://p.dw.com/p/1GqWU
Symbolbild - Islamist
ছবি: Colourbox/krbfss

[No title]

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. সরকারের কথায়, ‘‘দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের পর এক ধরনের অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে৷ জঙ্গিরা ব্লগারদের নতুন নতুন তালিকা তৈরি করছে৷ আর সেই তালিকা ধরে হত্যাকাণ্ডও চালাচ্ছে তারা৷’’

ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘‘এ বছর চারজন ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে৷ এই হত্যাকাণ্ডের আগেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার৷ আর পরেও বিচারের চাইতে ধামাচাপা দেয়াতে মনোযোগ তাদের বেশি৷ ফলে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ শুধু ব্লগার না, আমাদের দেশের পীর ও ইসলামি স্কলারদেরও হত্যা করা হচ্ছে৷ ধর্মকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র যারা বানাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এই পীররা কথা বলেন৷ মোট কথা, যারা ওদের বিরুদ্ধে লেখে, বা বলে, তাদের বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছে৷ এভাবে চলতে থাকলে রাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখা সম্ভব নয়৷''

এদিকে দুই বিদেশি হত্যার পর, গত শনিবার, নতুন করে মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ কিংবা চলাফেরার সময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি নিজেদের নিরাপত্তায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস৷ যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা নাগরিকদের লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক হোটেলসহ বড় সমাবেশে আবারো সন্ত্রাসী হামলার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকায়, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা বার্তায় নাগরিকদের এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷

[No title]

তবে এই সতর্কবার্তার একদিন পর, অর্থাৎ রবিবার, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার নতুন করে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি৷ আগের বার্তাটা শুধু নবায়ন করেছে৷ যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে৷ বার্নিকাট জানান যে, বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী যে সহযোগিতা করছে, তা সত্যিই সন্তোষজনক৷

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিন্তু শুরু থেকেই বলে আসছে যে, বাংলাদেশে কোনো আইএস নেই৷ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া রবিবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘‘দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্টী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-র কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি৷'' পাশাপাশি মামলার তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে বলেও জানান তিনি৷

অথচ বাংলাদেশে জঙ্গিদের যে একটা অবস্থান আছে, সেটা কিন্তু কেউই অস্বীকার করছেন না৷ ব্লগার বা পীরদের খুনের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগও অস্বীকার করছেন না বাংলাদেশের কোনো গোয়েন্দা কর্মকর্তাই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য