1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশি যুবকের আইএস-এ যোগদান

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র আশেকুর রহমানের সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট-এ যোগদানের খবর নিয়ে বাংলাদেশে চলছে ব্যাপক আলোচনা৷

https://p.dw.com/p/1F2Pz
Symbolbild IS Soldaten
ছবি: picture alliance/ZUMA Press/Medyan Dairieh

তবে আশেকুর আদৌ আইএস-এ যোগ দিয়েছেন কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়৷ যদি বিষয়টি নিশ্চিত হয় তাহলে তিনিই হবেন প্রথম বাংলাদেশি যিনি বাংলাদেশ থেকে গিয়ে সরাসরি আইএস-এ যোগ দিলেন৷

বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২১শে ফেব্রুয়ারি একটি সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা বলে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে যান আশেকুর রহমান৷ ২৭শে ফেব্রুয়ারি তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা ছিল৷ কিন্তু তিনি দেশে না ফিরে ইস্তানবুল থেকে নিরুদ্দেশ হন৷

বলা হচ্ছে, তিনি সিরিয়ায় গিয়ে আইএস-এ যোগ দেয়ার জন্যই টার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে তুরস্কে গিয়ে নিরুদ্দেশ হন৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ১১ই মার্চ চিঠি দিয়ে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো জানান হয়েছে৷ আর তার খোঁজ পেতে তুরস্ক সরকারের সহায়তা চাওয়া হয়েছে৷

এদিকে আশেকুর তুরস্কে যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদনের সঙ্গে যে কথিত সম্মেলনের কাগজপত্র দিয়েছে, তা ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ আর আশেকুর যে তুরস্ক গেছেন, তা পরিবারের সদস্যরা জানতেন না৷

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে আশেকুরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে ধারণা করা হচ্ছে যে তুরস্কের পার্শ্ববর্তী সিরিয়ায় জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগদানের জন্য ইস্তানবুল গিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিরুদ্দেশ হয়েছে৷

তবে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বাংলাদেশি দূতাবাস এখনো আশেকুরের আইএস-এ যোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি৷ তুরস্কও তার অবন্থান সম্পর্কে বাংলাদেশ দূতাবাসকে এখনো কিছু জানায়নি৷ যদিও দূতাবাস একমাস আগে তাঁর খোঁজ চেয়ে চিঠি দিয়েছে৷

এদিকে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা গত বছর থেকেই এখানে আইএস-এর তত্‍পরতার কথা জানান৷ গত সেপ্টেম্বরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুল্লাহ আল তাসনিম ওরফে নাহিদসহ সাতজনকে আটক করেন গোয়েন্দারা৷ তখন তাদের সঙ্গে আইএস-এর যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়৷

এরপর মো. আসিফ আদনান ও মো. ফজলে এলাহী তানজিল নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তারাও ‘জিহাদে' অংশ নিতে তুরস্ক ও সিরিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে তখন জানান গোয়েন্দারা৷

আর সামিউন ওরফে ইবনে হামদান নামের আরো এক তরুণকে আটকের পর বাংলাদেশে আইএস-এর তত্‍পরতার বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়৷ আটকের পর তার মোবাইল ফোন এবং কাগজপত্র থেকে আইএস-এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়৷ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ নাগরিক ইরাক ও সিরিয়া-ভিত্তিক আইএস-এর সঙ্গে জড়িত বলে বলে তখন পুলিশ দাবি করে৷ সেখানে অবস্থানের প্রমাণও পাওয়া যায় তার পাসপোর্ট থেকে৷ আর তখন গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, ‘‘আইএস-এর টার্গেটে পড়েছে বাংলাদেশ৷ বাংলাদেশের জঙ্গিরা এখন আইএস-এর জঙ্গি তত্‍পরতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের দিকে ঝুঁকছে৷''

তবে বাংলাদেশি যুবক আশেকুর রহমানের আইএস-এ যোগদানের খবর নিয়ে তাঁর মতামত জানার চেষ্টা করেও পাওয়া তাঁকে যায়নি৷ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত আমরা কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করেছি আইএস-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে৷ আর তাদের কাছ থেকে জানা গেছে আইএস বাংলাদেশে তত্‍পর৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে৷ আশেকুর রহমানের আইএস-এ যোগদানের খবর আমরা তদন্ত করে দেখছি৷ তবে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা এখনো নিশ্চিত নয়৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য