জার্মানিকে ভালোবাসার দশ কারণ

২০১৩ সালে এগারো মিলিয়ন পর্যটক জার্মানির রাজধানীর বার্লিন ভ্রমণ করেছেন৷ এই সংখ্যা বছর ভেদে বেড়ে চলেছে৷ এদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ এবং পার্টিপ্রেমী৷

অনেক মনে করেন, জার্মানদের চেয়ে বেশি বিয়ার সম্ভবত আর কোনো জাতি পান করতে পারে না৷ তবে এটা সত্য নয়৷ গড়পড়তা হিসেবে অস্ট্রিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্রের বাসিন্দারা এক্ষেত্রে আরো এগিয়ে আছেন৷ তবে বিয়ারের মানের প্রশ্নে জার্মান বিয়ার প্রস্তুতকারীরা অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে৷

এক হাজার ক্যালোরি দেখতে এরকম৷ জার্মানরা এরকম স্থানীয় ডিশ খেতে ভালোবাসেন৷ সেটা ‘আইসবইন’ হোক কিংবা ‘পিঙ্কেল’৷ তবে তাঁরা অন্য খাবারও পছন্দ করেন৷ বিশেষ করে ভেগান খাবারের চাহিদা এখন বাড়ছে এ দেশে৷ জার্মানির প্রথম ভেগান সুপারমার্কেটের অবস্থান বার্লিনে৷

জঙ্গলের সঙ্গে জার্মানদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে৷ জার্মানির এক তৃতীয়াংশই জঙ্গল৷ ইউরোপের মধ্যে এক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান প্রথম৷ জঙ্গলের মধ্যে হাঁটাচলা করলে মনে প্রশান্তি আসতে পারে আর পরিবেশের পরিবর্তনটাও ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায় জঙ্গলে৷

যাঁরা মনে করেন জার্মানদের মধ্যে আবেগ, অনুভূতি কম, তাঁদের উচিত হবে কোনো এক শনিবার জার্মানির কোনো ফুটবল স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখা কিংবা ‘স্পোর্ট বারে’ কিছুটা সময় কাটানো৷ বলা বাহুল্য, এবারের বিশ্বকাপের সময়টা জার্মানরা কাটিয়েছেন ব্যাপক উৎসব, আনন্দ করে৷

বাখ এবং বেটোফেনের কারণে জার্মানিকে সাধারণত ‘ক্লাসিকাল’ বা ধ্রুপদী সংগীতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়৷ তবে এটা কিন্তু ‘টেকনো’ মিউজিকেরও আবাস ভূমি, যা নব্বইয়ের দশকে দারুণ জনপ্রিয় ছিল৷

জার্মানিতে সহস্রাধিক ক্যাসেল রয়েছে৷ তবে বাভারিয়ার নয়শোয়ানস্টাইন এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত৷ প্রতি বছর প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ক্যাসেলটি দেখতে যান৷

সবাইকে পেছনে ফেলে নিজের গাড়িটিকে সর্বোচ্চ গতিতে চালানোর স্বপ্ন কে দেখে না বলুন? জার্মানির মহাসড়কে এটা সম্ভব৷ জার্মানির অনেক রাস্তায় এখন সর্বোচ্চ গতিসীমা ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা ঠিক করে দেয়া হলেও, অনেককেই সেটা খুব একটা মানতে দেখা যায় না৷

জার্মানরা অত্যন্ত অন্তরঙ্গভাবে মেলামেশা পছন্দ করেন৷ বিশেষ করে বিয়ার গার্ডেনে তাঁদের চরিত্রের এই দিকটির প্রমাণ মেলে৷ হাত এক গ্লাস বিয়ার নিয়ে গল্প জুড়ে দেন তাঁরা৷

জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেট বা বড়দিনের বাজারের আদলে মার্কেট এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যায়৷ বড়দিনের সময় জার্মানির প্রায় প্রতিটি শহরে বসে ক্রিসমাস মার্কেট৷ শীতের অন্ধকার দিনগুলোতে এই বাজার যেন আলোর বন্যায় ভাসিয়ে দেয় এক-একটা শহরকে৷