1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নজর ক্রেতার স্বাস্থ্যের দিকেও

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করলে কী ক্ষতি হয় – তা অনেকেই জানেন৷ তবু দেদার বিক্রি হচ্ছে পানীয়গুলো৷ যুক্তরাষ্ট্রের কোমল পানীয় কোম্পানিগুলো বলেছে, এখন থেকে ক্যালরি কমানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নেবে৷

https://p.dw.com/p/1DJmM
Coca-Cola Flasche mit Namen
ছবি: picture-alliance/dpa/Rainer Jensen

কোকাকোলা, পেপসিকোলা এবং ড. পেপার স্ন্যাপি – যুক্তরাষ্ট্রের এই তিন কোমল পানীয় কোম্পানি বলেছে, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে তারা নিজেদের পন্যে ক্যালরির মাত্রা ২০ শতাংশ কমাবে৷ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে৷ পুষ্টিবিদরা বলছেন, বেশি ‘স্ন্যাকস' খাওয়া এবং কোমল পানীয় পান করার কারণেই এমনটি হচ্ছে৷ বেশি মুটিয়ে গেলে শরীরে নানা রকমের রোগ বাসা বাঁধে৷ এসব রোধ করতেই উঠেছে কোমল পানীয়ে ক্যালরি কমানোর দাবি৷ যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ'-এর উদ্যোগে নিউ ইয়র্ক শহরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ দাবি পূরণে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বেভারেজ, অর্থাৎ কোমল পানীয় কোম্পানিগুলো৷

কোকাকোলা, পেপসিকোলা আর ড. পেপার স্ন্যাপি জানিয়েছে, তারা ধীরে ধীরে প্রচলিত বোতলের চেয়ে ছোট আকারের বোতল বাজারে ছাড়তে শুরু করবে৷ এ ছাড়া পানীয়ে চিনির মাত্রা কমানো এবং ক্রেতাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে বলেও জানিয়েছে তারা৷ এর বাইরে বিভিন্ন স্থানে যে স্বয়ংক্রিয় মেশিন (অটোম্যাট) রয়েছে সেগুলো থেকেও কম ক্যালরিযুক্ত পানীয় সরবরাহ করার আশ্বাস দিয়েছে কোম্পানিগুলো৷

কোকাকোলা, পেপসিকোলা এবং ড. পেপার স্ন্যাপি-কে এভাবে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর পানীয় বাজারে ছাড়তে রাজি করানোর পেছনে ভূমিকা রেখেছে ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ'৷ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন৷ কোমল পানীয় কোম্পানিগুলো জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে পন্যে ক্যালরি কমাতে সম্মত হওয়ায় ক্লিনটনের প্রশংসা করেছেন অনেকে৷

তবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য সেন্টার ফর সায়েন্স ইন দ্য পাবলিক ইন্টারেস্ট' এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘এ উদ্যোগের জন্য আমরা প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনকে ধন্যবাদ জানাই৷ কিন্তু আমরা মনে করি, জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য আরো দ্রুত এবং বেশি হারে (ক্যালরি) কমানো দরকার৷ ''

নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি এবং জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক মারিয়ন নেসলে মনে করেন, এক দশকে ২০ ভাগ ক্যালরি কমানো খুব উল্লেখযোগ্য কাজ নয়৷ তাঁর মতে, কোকাকোলা, পেপসিকোলার মতো প্রতিষ্ঠান যদি সত্যি জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করা থামাতেই চায়, তাহলে তাদের উচিত সোডাজাত দ্রব্যের ওপর উচ্চহারে কর আরোপের দাবির বিরোধিতা না করা৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য