1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সম্মত ভারত

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২ জুলাই ২০১৪

ভারতে আটক নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাতখুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ভারত ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তাকে ফেরত আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি৷

https://p.dw.com/p/1CUU1
শীতলক্ষ্যা থেকে লাশ উদ্ধারের পর স্বজনের আহাজারি (ফাইল ছবি)ছবি: DW

বুধবার সংসদে জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে এ এইচ মাহমুদ আলী জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরের সময় ভারতে আটক নূর হোসেনকে নিয়ে কথা হয়েছে৷ ভারত নূর হোসেনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে এবং তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে৷ তবে কবে নাগাদ বা তাকে ফেরত আনতে কতদিন লাগতে পারে তা জানাননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে নূর হোসেনকে গ্রেফতার করার কথা জানানোর পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷ ভারতের চাহিদামত নূর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার কাগজপত্র এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত পাঠান হয়েছে৷

গত এপ্রিলে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার পর নূর হোসেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যান৷ ১৪ই জুন রাতে কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে বাগুইহাটি থানার কৈখালি এলাকার ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসন থেকে দুই সঙ্গীসহ নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ বাগুইহাটি থানার সহযোগিতায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের (এটিএস) সদস্যরা তাঁদের আটক করেন৷

গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন নূর হোসেনসহ তিনজনকে বারাসাতের আদালত পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটদিনের রিমান্ডের অনুমতি দেয়৷ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা এখন কারাগারে আটক আছেন৷

নূর হোসেনকে ফেরত চেয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে করা আবেদন আদালতে পেশ করা হয়েছে৷ ৭ই জুলাই তাদের আবার আদালতে তোলা হবে৷

এদিকে এই মামলায় আটক নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব-১১ এর সাবেক তিন কর্মকর্তাও কারাগারে আছেন৷ চলতি সপ্তাহে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন৷ র‌্যাব-১১-র কমান্ডার লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং লে. কমান্ডার এম এম রানা এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন৷ নারায়ণগঞ্জের পুলি সুপার মহিদ উদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে জানান, আসামিদের স্বীকারোক্তি এবং প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণে এই মামলার ঘটনা এবং কারণ তাদের কাছে এখন পরিষ্কার৷ কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাও পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ এখন নূর হোসেনকে হাতে পেলে তাদের তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে৷ তাই তারা নূর হোসেনের অপেক্ষায় আছেন৷

কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ভারতের যতই সদিচ্ছা থাকুক না কেন ভারতে নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলার বিচার শেষ হওয়া এবং বিচারে যে কারাদণ্ড হবে, সেই সাজা ভোগ শেষ হওয়ার আগে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা কম৷ যদিও বন্দিদের নিজ দেশে সাজা খাটার একটি চুক্তি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আছে৷ কিন্তু এই চুক্তি এখনো প্রয়োগ হওয়ার কোন নজীর নেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য