1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মানবাধিকার কর্মীরা হুমকির মুখে’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৮ জুন ২০১৪

সুশীল সমাজের আন্তর্জাতিক জোট ‘সিভিকাস’ জানিয়েছে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে যাঁরা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাঁরা এই মুহূর্তে হুমকি এবং চাপের মুখে আছেন৷

https://p.dw.com/p/1CRah
Rapid Action Battalion RAB Spezialeinheit Militär Dhaka Bangladesh
ছবি: Getty Images/AFP

সংস্থটি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, বিরোধী দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর বাংলাদেশে একটি অস্বাভাবিক রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে৷ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারা এই পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছে বা বলছেন, তারাই নানা ধরনের নির্যাতন এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন৷

সিভিকাস-এর নীতি গবেষণা বিভাগের প্রধান মানদীপ তিওয়ানা বিবৃতিতে বলেন, ‘‘সম্প্রতিক সময়ে মানবাধিবার সুরক্ষা নিয়ে যাঁরা কথা বলছেন তাঁদের ওপর অগ্রহণযোগ্যভাবে নজদারি এবং জঘণ্যভাবে হয়রানি করা হচ্ছে৷ ফলে এরই মধ্যে অনেকেই চুপচাপ হয়ে গেছেন৷ আর তার পরেও যাঁরা কথা বলার চেষ্টা করছেন, তাঁদের কঠিনভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে৷''

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে৷ এই সংগঠনের প্রধান আদিলুর রহমান ও পরিচালক নারিউদ্দিন এলান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কাজ করায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলার শিকার হয়েছেন৷

এছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরকারের সমালোচনা করায় দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুমুদুরকে জেলে যেতে হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলো ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে৷

অনেক সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী যাঁরা মানবাধিকারে জন্য কাজ করছেন, তাঁদের তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের আওতায় নির্যাতন এবং হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে৷ এই অস্পষ্ট আইনে অনলাইনে কথিত মিথ্যা এবং হানিকর তথ্য পরিবেশনের দায়ে ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে৷

বিবৃতিতে বিদেশি অনুদান গ্রহণে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত প্রস্তাবিত আইনেরও সমালোচনা করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, বিদেশি অনুদান নেয়া উন্নয়ন সংস্থা এবং মানবাধিকার সংস্থার কণ্ঠরোধ করার জন্যই আইনটি করা হয়েছে৷ এই আইনে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ আইনে বিদেশি অনুদান নেয়ার আগে এনজিও ব্যুরোর অনুমোদ এবং প্রতিমাসের আর্থিক রিপোর্ট জমা দেয়ার বিধানের কথা বলা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, এনজিওগুলোকে ঝুঁকির মধ্যে এবং লালফিতায় বন্দি করার কথাও বলা হয়েছে৷

এই অবস্থায় সিভিকাস বাংলাদেশ সরকারকে সহনশীলতার পরিচয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ দেশে মানবাধিকার রক্ষায় যাঁরা কাজ করছেন তাঁরাসহ সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন-হয়রানি বন্ধ এবং সংলাপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য