1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্লগার রাজীব হত্যায় জঙ্গি সংগঠন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৯ জানুয়ারি ২০১৪

ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দা বিভাগ৷

https://p.dw.com/p/1AyZE
Bangladesch Dhaka Proteste
ছবি: picture-alliance/dpa

টিমের প্রধান মুফতি মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ৷ তাদের মধ্যে ৬ জন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র৷

গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পল্লবীর পলাশনগরের নিজ বাড়ির সামনে ব্লগার রাজীব হায়দারকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷ রাজীব ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের একজন সক্রিয় কর্মী৷ তাঁকে হত্যার পর পুলিশ তদন্তে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ৫ ছাত্রকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে চিহ্নিত করে৷ তাদের গ্রেফতারের পর দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী আটক করা হয় আরো একজন শিক্ষার্থীকে৷ তাদের কাছ থেকে তদন্ত দলের সদস্যরা জানতে পারেন, তারা সবাই আল-কায়েদা ভাবধারার জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য৷ তাদের সংগঠনের প্রধান মুফতি মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানী৷

তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘‘তারা (অভিযুক্তরা) জানায় রাজীব হায়দার ‘থাবা বাবা' নামে ব্লগ লিখতেন৷ তাদের বড়ভাই রেদোয়ানুল আজাদ এব্যাপারে তাদের জানায় এবং তারা ব্লগ পড়ে রাজীবকে হত্যা করা ঈমানী দায়িত্ব বলে মনে করে৷ তারা তাদের নেতা মুফতি মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানীর বই পড়ে এবং তার বয়ান এবং খুতবায় অংশ নিয়ে ‘নাস্তিক ব্লগারদের' হত্যা করতে উৎসাহিত হয়৷''

তারা ফেসবুক এবং সরাসরি শাহবাগে গিয়ে রাজীবের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে এবং তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে৷ আর এজন্য তাদের সবধরণের সহায়তা করে রেদোয়ানুল ইসলাম৷ রেদোয়ানুল সরাসরি মুফতি মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন৷

হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ পর্যায়ক্রমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকেই গ্রেফতার করে৷ গ্রেফতারের সময় তাদের কাছে তাদের সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কাগজপত্র, হিটলিষ্ট এবং আল-কায়েদার ভিডিও সিডি উদ্ধার করা হয়৷ তারা আরো কয়েকজনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল৷

তদন্ত শেষে গোয়েন্দা বিভাগ যাদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তারা হলেন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিাটর ছাত্র মো. ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপ, মাকসুদুল হাসান ওরফে অনিক, মো. এহসান রেজা ওরফে রুম্মান, নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ, নাসিফ ইমতিয়াজ, সাদমান ইয়াসির মাহমুদ, রেদোয়ানুল আজাদ রানা এবং তাদের নেতা মুফতি মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানী৷

তদন্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান এই মামলায় মোট ৫৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে৷ আর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও সাইকেলসহ আরো অনেক আলামত আদালতে জমা দেয়া হয়েছে৷ তিনি জানান হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা ধর্মীয় উগ্রবাদী৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য