জাহাজ যখন কফিন!
অষ্টম শতকের শেষ থেকে শুরু করে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ইউরোপ ও এশিয়ায় রাজত্ব করেছিল ভাইকিংরা৷ সে সময়কার তিনটি জাহাজের গল্প নিয়ে এই ছবিঘর৷
ওসেব্যার্গ শিপ
৮৫০ সালের দিকে এই জাহাজে করে দুজন নারীকে দাফন করা হয়েছিল৷ যতদূর জানা যায় এর মধ্যে একজন ছিলেন রানি, অন্যজন তাঁর সেবিকা৷ তাদের ‘মৃত্যু-পরবর্তী জীবন’-এ সুখ নিশ্চিত করতে সঙ্গে দিয়ে দেয়া হয়েছিল খাবার থেকে শুরু করে জামা-কাপড়, অলংকার ও নিত্য-ব্যবহার্য জিনিস৷ ১৯০৪-০৫ সালে জাহাজটি উদ্ধার করা হয়৷
গোকস্টাট শিপ
১৮৮০ সালে খোঁড়াখুঁড়ি করে বের করা এই জাহাজে ৫০ থেকে ৭০ বছর বয়সি একটি পুরুষের কঙ্কাল পাওয়া গেছে৷ ধারণা করা হয় ৯০০ সালের দিকে এই জাহাজ-কাম-কফিনটি ‘সমাধি টিলা’য় সমাহিত করা হয়েছিল৷
টুনে শিপ
১৮৬৭ সালে খুঁজে পাওয়া এই জাহাজটি গোকস্টাটের মতোই ৯০০ সালের দিকেই সমাহিত করা হয়েছিল৷ গোকস্টাটের মতোই তাতেও একজন উঁচু ব়্যাংকের পুরুষের কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল৷
‘ভাইকিং শিপ মিউজিয়াম’
এতোক্ষণ যে তিনটি জাহাজের কথা বলা হলো সেগুলো সব ভাইকিং যুগের এবং এগুলো এখন সংরক্ষিত আছে ছবির এই ভবনটিতে, যার নাম ভাইকিং শিপ মিউজিয়াম৷ অবস্থান নরওয়ের রাজধানী অসলোতে৷ ওক কাঠের তৈরি এই জাহাজগুলো শুরুতে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে ব্যবহৃত হতো৷
খাবারের ব্যবস্থা
আগেই বলা হয়েছে ‘মৃত্যু পরবর্তী জীবন’-এ মৃত ব্যক্তিদের সুখ নিশ্চিত করতে সম্ভব সব ধরনের চেষ্টাই করা হয়েছিল৷ উপরের ছবিটি তারই একটি প্রমাণ৷
স্বর্ণালঙ্কার
এসব অলংকার আর ঘড়িরও সন্ধান পাওয়া গেছে জাহাজগুলোতে৷ যদিও সেই যুগেও ডাকাতদের কবলে পড়ে অনেক কিছু হারিয়ে গেছে৷ ছবিতে অলংকার ছাড়াও দেখা যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ৷
মৃতের সৌন্দর্য চর্চা
দুই মৃত নারীর জন্য ওসেব্যার্গ শিপে দিয়ে দেয়া হয়েছিল চিরুনি’ও৷
স্লেজগাড়ি
ওসেব্যার্গ শিপের খননকাজের সময় চারটি ঘোড়ায় টানা স্লেজগাড়ি পাওয়া যায়৷ উপরের ছবিতে তারই একটি দেখা যাচ্ছে৷ পাওয়া গেছে ঘোড়ার কঙ্কালও৷
ঘোড়ার গাড়ি
চার চাকার এই ‘উডেন-কার্ট’-টিও পাওয়া গেছে ওসেব্যার্গ শিপের সঙ্গে৷
টুল ও জুতা
পাওয়া গেছে বসার টুল, সঙ্গে জুতা৷