1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোমাঞ্চকর খেলা

১৯ জুলাই ২০১৩

জার্মানে বলে ‘স্পোর্ট-হকার' বা খেলার টুল৷ এই টুল শুধু বসার জন্য নয়৷ স্কেটবোর্ড দিয়ে যা করা যায়, স্পোর্ট-হকার দিয়েও তা করা যায়৷ সারা দুনিয়ায় এখন এই স্পোর্ট-হকার নিয়ে কসরত করার ক্রেজ বা পাগলামো চলেছে৷

https://p.dw.com/p/19800
ছবি: picture-alliance/dpa

বিষয়টা বেশ ভালোভাবে রপ্ত করেছে আলেক্স কানিৎস৷ সে জানালো, ‘‘প্রথমে একটা টুল নিয়ে ভোজবাজি দেখানোটা বোকা বোকা মনে হয়েছিল৷ পরে দেখলাম এটা খুবই মজার, নানা ধরনের ট্রিক দেখানো যায়৷''

এ ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা নয়৷ যেমন ৩২ বছর বয়স্ক রেনে কাৎসরকে বললেন, ‘‘এটা যারা করে, তারা খুব খোলা মনের, তারা সব কিছু জানতে চায়, মনে অনেক কৌতূহল৷ ইন্টারেস্টিং লোকজন৷''

টুল নিয়ে ভোজবাজি দেখানোটা এসেছে সার্কাস থেকে৷ স্পোর্ট-হকার নিয়ে খেলাটা সেই ধারার, তবে তাতে আধুনিক ব্রেক-ড্যান্সের নানা উপাদান মেশানো রয়েছে৷ মিশায়েল আর স্টেফান লান্ডশ্যুৎস-কে স্পোর্ট-হকার খেলার পথিকৃৎ বলা চলে৷ দু'জনেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জিতেছেন, রেকর্ড গড়েছেন৷ আরো বড় কথা, দুই ভাই মিলে ২০০৭ সালে এই স্পোর্ট-হকার সৃষ্টি করেন৷

Sporthocker
হরেক কসরত দেখানো যায় অভিনব এই টুল দিয়েছবি: picture-alliance/dpa

২০০৬ সালে জার্মানির কিল শহরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশুনোর সময় ধারণাটা তাদের মাথায় আসে৷ কাজেই স্পোর্ট-হকার টুল হলেও, তার ডিজাইনটা আধুনিক৷ দাম ৯০ থেকে ১৬০ ইউরোর মতো৷

একটা সাধারণ প্লাস্টিকের টুল থেকে শক্তপোক্ত খেলাধুলার সরঞ্জাম তৈরি করার জন্য একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন মিশায়েল আর স্টেফান৷ স্টেফান বললেন, ‘‘জিনিসটা খুবই শক্তপোক্ত৷ এটার মতো নয়, এটা তো হালকা-পলকা প্লাস্টিকের, সহজেই ভেঙে যাবে৷ স্পোর্ট-হকার কিন্তু ভাঙে না৷ এটা ধরা শক্ত, তবে অন্যটা সহজেই ভালোভাবে ধরা যায়৷ এটা এক আঙুলে তুলতে পারি; অন্যটা নয়৷ এটা নিয়ে যা খুশি করতে পারি৷ এর ওপর লাফঝাঁপ করতে পারি৷ মাথা নীচে, পা ওপরে করে দাঁড়াতে পারি৷ কিছুতেই ভাঙবে না৷''

দুই ভাইয়ে মিলে একটি স্পোর্ট-হকার টুর্নামেন্টও শুরু করেছেন৷ সারা ইউরোপে ঘুরে বেড়ান, যেমন এখানে রোমে৷ কাজেই তাদের খেলাটা এখন স্ট্রিট আর্টের পর্যায়ে পড়ে৷ তার ভিডিও ছবি তুলে ইন্টারনেটে তুলে দেওয়াটাও তার অঙ্গ৷ স্টেফান লান্ডশ্যুৎস বলেন, ‘‘প্রত্যেক শহরই অন্যরকম৷ রোম মাদ্রিদ নয়, যেমন মাদ্রিদ লন্ডন নয়৷ প্রতিটি শহরের নিজস্ব চার্ম আছে৷ অন্য ধরনের সিঁড়ি, পাটাতন, উঁচু-নীচু জায়গা৷ তা থেকে নতুন কসরতের আইডিয়া পাওয়া যায়৷ আসলে সর্বত্রই স্পোর্ট-হকার নিয়ে খেলা যায়৷ তবে এই সব প্রেরণা থেকেই খেলাটা এগোচ্ছে৷''

‘ইউ' হল ইউরোপের বৃহত্তম যুব প্রদর্শনী৷ স্থানটা বার্লিন৷ স্টেফান আর মিশায়েল সেখানে তাদের স্পোর্ট-হকার দেখিয়েছেন, তা জনপ্রিয় করার আশায়৷ কিন্তু দু'মিনিটে এ খেলা শেখা যায় না৷ কিছুটা নড়বড়ে থেকে যায়৷ একজন বলে, ‘‘ওরা যা করে, আমার খুব ‘কুল' লাগে, দারুণ লাগে৷ কিন্তু করাটা বেশ শক্ত বলে আমার মনে হয়৷ আমিও করতে চাই৷'' বাকিদের মধ্যে কেউ বলেন, ব্যালেন্স রাখাটা খুব শক্ত অথবা নতুন কিছু শেখাটাই একটা চ্যালেঞ্জ৷

স্পোর্ট-হকার খেলাটায় ওস্তাদিই শেষ কথা নয়৷ স্পোর্ট-হকার খেলার মানে হল, পরস্পরের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ, আর নতুন নতুন ট্রিক বার করে সেগুলো পাবলিকের সামনে দেখানো৷

এসি / এসবি