1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘুমের সঙ্গে হরমোনের সম্পর্ক

মিম ফ্লিপসন/এআই১ এপ্রিল ২০১৩

৩১ মার্চ ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে নিয়েছে জার্মানরা৷ কিশোর-তরুণদের জন্য এই সময় পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন৷ এক্ষেত্রে তাদের অলসতা কিংবা গভীর রাত অবধি পার্টি একমাত্র কারণ নয়৷

https://p.dw.com/p/187E2
ছবি: Fotolia/Light Impression

এলার্ম ক্লক কখনোই আনন্দদায়ক হয় না৷ আর সেই ঘড়ি যখন এক ঘণ্টা আগেই বাজতে শুরু করে, তখন বিরক্তির মাত্রা সীমা ছাড়ায়৷ রবিবার থেকে সেটাই হচ্ছে৷ কেননা, ‘দিনের আলো বাঁচানোর উদ্যোগ' হিসেবে বদলে গেছে জার্মানির সময়৷

অনেকের জন্য অবশ্য এটা কোনো সমস্যা নয়৷ তবে অল্প বয়সি কিশোর-তরুণদের জন্য নতুন সময়ে সঙ্গে খাপ খাওয়ানো খানিকটা কঠিন৷ বিজ্ঞানীরাও এই বিষয়ে একমত৷ তাদের মতে, নতুন ঘড়ির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বয়স্কদের তুলনায় কিশোর-তরুণদের তিনগুন সময় বেশি লাগে৷

আসলে সময়মত ঘুমাতে যাওয়া কিংবা কোনো বিরক্তি ছাড়া ঘুম থেকে জাগার বিষয়টি নির্ধারণ করে আমাদের জিন৷ তবে অল্প বয়সে হরমোন ঘুমের এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে৷ ফলে অনেক শিক্ষার্থী রাতের পেঁচায় পরিণত হয়, তারা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠাও তাদের জন্য কষ্টকর৷

Symbolbild Schlafendes Baby
খুব অল্প বয়সি শিশুদের দিনে ১৬ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজনছবি: Gabees/Fotolia

ড. থমাস পানজেল মানুষের ঘুমের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে গবেষণা করছেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘ঘুমের মেয়াদ এবং বিভিন্ন স্তর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়৷ খুব অল্প বয়সি শিশুদের দিনে ১৬ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন৷ আর একজন ১৫ বছর বয়সি কিশোরের ঘুম দরকার হয় ৮ ঘণ্টা৷ বয়ঃসন্ধি পেরুনোর পর ঘুমের চাহিদা আবারো আরো এক ঘণ্টার মতো বেড়ে যায়৷''

মজার বিষয় হচ্ছে, অধিকাংশ তরুণ-যুবা ঘুমের এই চাহিদা বিবেচনায় এনে তাড়াতাড়ি বিছানায় যেতে রাজি নন৷ পাশাপাশি শুধুমাত্র হরমোনই নয়, তাদের ইচ্ছাটাও থাকে ঘুমের চেয়ে কম্পিউটার চালানো বা টিভি দেখার দিকে৷ আর রাত জেগে পার্টির সুযোগ থাকলোতো কথাই নেই৷

তবে পিতামাতা বা শিক্ষকদের জন্য বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, সারা সপ্তাহ ঠিকভাবে না ঘুমালেও তরুণদের খুব একটা সমস্যা হয় না৷ তারা বরং সপ্তাহান্তটা কাটিয়ে দেন ঘুমিয়ে, তাও আবার দিনের বেলা৷ কেননা রাতে থাকেন পার্টিতে৷

বিজ্ঞানীদের মত হচ্ছে, নিয়ম মেনে নিয়মিত ঘুমানো অত্যন্ত জরুরি৷ যদিও তরুণরা তাদের এই কথা শুনতে খুব একটা আগ্রহী নন৷ তবুও বিজ্ঞানীরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন৷ সেগুলো হচ্ছে, ঘুমানোর আগে মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া বা পান করা থেকে বিরত থাকলে ঘুম ভালো হয়৷ পাশাপাশি ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ টিভি বা কম্পিউটারের পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে রাখলেও উপকার মেলে৷ আর রাতে ঘুম ভালো হলে, সকালের এলার্ম ক্লক খুব একটা বিরক্তিকর মনে হবে না৷ দিনটাও কাটবে ফুরফুরে মেজাজে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য