1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুম্বই হামলা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৫ জানুয়ারি ২০১৩

মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ডেভিড হেডলিকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে শিকাগো আদালত৷ অপরাধের তুলনায় তাঁর সাজা যথেষ্ট নয় বলে ভারত ক্ষুব্ধ ও হতাশ৷

https://p.dw.com/p/17RR0
ছবি: AP

২০০৮ সালে ৬/১১-এর মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ডেভিড হেডলির ৩৫ বছর জেল হওয়ায় ভারত অখুশি৷ কারণ যে জঘন্য অপরাধ সে করেছে, সেই তুলনায় এই শাস্তি খুবই কম৷ কেন গুরু পাপে লঘু দণ্ড? ২০০৯ সালে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই-এর হাতে ধরা পড়ার পর তদন্তের স্বার্থে হেডলির সঙ্গে এই মর্মে বোঝাপড়া হয় যে, হেডলি যদি তাঁর অপরাধের সবকিছু কবুল করে এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ দিয়ে এফবিআইকে সাহায্য করে, তাহলে তাঁকে ফাঁসি দেয়া হবেনা এবং ভারতে প্রত্যর্পণ করা হবেনা৷

এমতাবস্থায় হেডলিকে কি ভারতে আনা সম্ভব হবে বিচারের জন্য? আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই সম্ভাবনা নেই বললেই হয়৷ মার্কিন বিচার ব্যবস্থার অধীনে যতদিন না হেডলি তার কথার খেলাপ করছে বা আইন লঙ্ঘন করছে, ততদিন তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া যাবে না৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশিদ বলেছেন, ‘‘এখনও হাল ছাড়িনি৷ চেষ্টা চলবে৷ হেডলির মতো অপরাধীর বিচার ভারতেই করা উচিত৷ এখানে বিচার হলে সাজা আরও কড়া হতো৷ সাজা যা হয়েছে তাতে আমরা হতাশ৷ তবে জানি, বিচারক স্বয়ং স্বীকার করেছেন, যে সাজা তাঁর প্রাপ্য ছিল তা দেয়া যায়নি, বোঝাপড়ার শর্ত পালনে৷

স্বরাষ্ট্র সচিব বলেছেন, হেডলির প্রত্যর্পণের দাবি ছিল, এখনও আছে৷ এ জন্য চাপ অব্যাহত থাকবে৷ গোটা ষড়যন্ত্রে হেডলির যে ভূমিকা ছিল, তা শুধু মুম্বই-এ সীমাবদ্ধ ছিলনা, অন্যান্য জায়গাতেও সে নজরদারি চালিয়েছিল৷ সে বিষয়ে আমাদের তথ্য জানা দরকার৷

কংগ্রেস নেতা রিয়াজ আলভি মনে করেন, হেডলি যে অপরাধ করেছে তাতে ফাঁসিও বুঝি কম৷ যেহেতু সে ভারতে অপরাধ করেছে, তাই বিচারের জন্য ভারতের হাতে তুলে দেয়া উচিত৷

বিজেপির মতে, যেভাবে কাসভের ফাঁসি হয়, সেইভাবেই হেডলিরও ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল এবং সেটা করবে ভারতের আদালত৷ মুম্বই হামলায় মারা গেছে স্বামী ও কন্যা এমন একজন মার্কিন মহিলা মন্তব্য করেন, হেডলির ফাঁসি না হওয়াটা মৃতদের প্রতি অসম্মান৷

উল্লেখ্য, হেডলির বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ ছিল৷ সবকটিই প্রমাণিত৷ মুম্বই হামলায় হেডলি লস্কর-ই-তয়বাকে প্রয়োজনীয় খবরাখবর জুগিয়েছিল৷ সে জন্য সে বারংবার ভারতে আসে নাম ভাঁড়িয়ে৷ বিশেষ বিশেষ জায়গার ভিডিও তুলে পাঠায়৷ তার ভিত্তিতে হামলার ছক কষে লস্কর-ই-তয়বা৷ তার বন্ধু তাহাহুর রাণা ছিল তার সহযোগী৷ তাদের বিরুদ্ধে কোপেনহাগেনে এক সংবাদপত্রের কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগও ছিল৷ হেডলি একসময় মাদক পাচারে লিপ্ত ছিল৷ পরে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের গুপ্তচরের কাজ করে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য