1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জোতির্বিজ্ঞানের জন্য ২০১৩ হবে চাঞ্চল্যকর

ডির্ক লোরোনৎসেন/এসি২ জানুয়ারি ২০১৩

এ বছর দু’টি কমেট বা ধূমকেতু, এবং দু’টি অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণু পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে৷ ধূমকেতুটির নাম ‘অ্যাপোফিস’ আর গ্রহাণুটি হলো ‘অ্যাস্টেরয়েড ২০১২ ডিএ ১৪’৷ এছাড়া অস্ট্রেলিয়া এবং মধ্য আফ্রিকা থেকে দেখা যাবে সূর্যগ্রহণ৷

https://p.dw.com/p/17CNK
ছবি: picture-alliance/imagestate/HIP

অ্যাপোফিস ধূমকেতুটির নাম রাখা হয় প্রাচীন মিশরের এক অন্ধকারের দেবতার নামে৷ অ্যাপোফিস আগামী ১০ই জানুয়ারি পৃথিবীর কাছ দিয়েই যাবে, তবে কাছ বলতে দেড় কোটি কিলোমিটার দূরত্বে৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অন্ধকারের দেবতার যাত্রাপথ পর্যবেক্ষণ করবেন কিছুটা উদ্বেগ নিয়ে – এবং সেই সংক্রান্ত নানা তথ্য সংগ্রহ করবেন দূরবীক্ষণ যন্ত্র এবং রাডার বসিয়ে৷

তার কারণ: অ্যাপোফিস আবার বছর ১৫ বাদেই পৃথিবীর কাছাকাছি ফিরবে, ২০২৯ সালের ১৩ই এপ্রিল তারিখে৷ এবং সেবার সে পৃথিবীর মাত্র ৩০ হাজার কিলোমিটার কাছ দিয়ে যাবে৷ সেটা যে কত কাছে, তার প্রমাণ এই যে, আবহাওয়া এবং টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইটগুলি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৬,০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করে৷

তারও সাত বছর পরে, অর্থাৎ ২০৩৬ সালে আবার অ্যাপোফিসের পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগারও সম্ভাবনা থাকবে – যদিও সে সম্ভাবনা এক লাখের মধ্যে একের চেয়ে বেশি নয়৷ তবুও যদি সেই ঘটনা ঘটে, তবে তার ফলাফল যে কি হবে, তা কল্পনা করা যেতে পারে৷ তাই বিজ্ঞানীরা ২০১৩ সালে অ্যাপোফিসকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করবেন, এবং আশা করা যায় আমাদের এই আশ্বাস দিতে পারবেন যে, ২০৩৬ সালেও অ্যাপোফিসের ফাঁড়া ঠিক এইরকম ভাবেই পাশ কাটিয়ে যাবে৷

Solar system
আমাদের সৌরজগত...ছবি: picture alliance/Image Source

অ্যাস্টেরয়েড ২০১২ ডিএ ১৪

গ্রহাণুটির নাম নেই, শুধু নম্বর আছে, কিন্তু তা বলে তার আশঙ্কা কিছুমাত্র কম নয়, কেননা মহাশূন্যের এই পাথরকুচিটি পৃথিবীর ২৪,০০০ কিলোমিটারের মধ্য দিয়ে যাবে, যদিও ধাক্কা খাবার কোনো সম্ভাবনা নেই, বলছেন বিজ্ঞানীরা৷ অবশ্য গ্রহাণুটি ৪০ মিটারের কম চওড়া, কাজেই সেটি ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়লেও তার প্রভাব স্থানীয়ই হবে৷ ১৫ই ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় এই অ্যাস্টেরয়েডটিকে ভালো টেলিস্কোপ থাকলে দেখতে পাবেন অ-বিজ্ঞানীরাও৷

কোনো অ্যাস্টেরয়েড যদি ঝাঁঝরা হয়, তবে তা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সময় ভেঙে গুঁড়ো হয়ে যাবে৷ শুধু যদি তা ধাতব হয়, তবেই তা ভূপৃষ্ঠে এসে পড়বে এবং একটি গহ্বর সৃষ্টি করবে৷ অ্যাপোফিস এবং গ্রহাণুর সঙ্গে মোলাকাত ২০১৩ সালে কোনো সমস্যার সৃষ্টি না করতে পারে, তবে এ থেকে বোঝা যায় যে, আমাদের পৃথিবী এই মহাজাগতিক বোমাবাজির বিপদ থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য