ঢাকায় শুরু হচ্ছে সাংসদদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন
৯ ডিসেম্বর ২০১২সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূর, শান্তি এবং নিরাপত্তাসহ আটটি লক্ষ্য অর্জনের বিষয় ঠিক করা হয় ২০০০ সালে৷ আর ২০১৫ সালের মধ্যে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা৷ কিন্তু আগামী তিন বছরে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশই তা অর্জন করতে পারবে কিনা সংশয় আছে৷ এর কারণ নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি হওয়া এবং তৃণমূলের মানুষকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত না করা৷ তাই সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা যাতে অর্জন করা যায় তার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম, উত্তর এবং মধ্য এশীয় দেশের সংসদ সদস্যদের সম্মেলন৷ দুই দিনের সম্মেলনে ৬০ টিরও বেশি দেশের সংসদ সদস্য ছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞরা অংশ নিচ্ছেন৷ সম্মেলনের সমন্বয়কারী ভারতের লোপা ঘোষ ডয়চে ভেলেকে জানান, তারা এমন এটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে চান যার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়৷ তিনি বলেন যখন এই লক্ষ্যমাত্রা তৈরি হয় তখন অনেক গরীব দেশের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি৷
তিনি জানান, সম্মেলন শেষে তারা যে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবেন তা জাতিসংঘের কাছে হস্তান্তর করা হবে যাতে তা বাস্তবায়ন সহজ হয়৷ আর এই সম্মেলনে তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবকে৷ কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের মত অনেক দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছ৷ আর তাতে তারা সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে পিছিয়ে পড়ছে৷
সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সম্মেলনের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে৷ কাল মঙ্গলবার সম্মেলন শেষ হবে কর্মপরিকল্পনা এবং সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে৷