1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তেজী ঘোড়া

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২

থাকে অস্ট্রেলিয়ায়৷ মাদি ঘোড়া৷ নাম ব্ল্যাক ক্যাভিয়ার৷ ওজন ৬০০ কিলোগ্রাম৷ বয়স পাঁচ বছর৷ বিগত যে ১৮টি দৌড়ে অংশ নিয়েছে ব্ল্যাক ক্যাভিয়ার, তার সব ক’টিতেই জিতেছে সে৷ শনিবার মেলবোর্নে একটানা ১৮ বারের মতো জিতল এই ঘোড়া৷

https://p.dw.com/p/141up
ব্ল্যাক ক্যাভিয়ার (মাঝখানে)ছবি: picture-alliance/dpa

এই প্রথমবার ১,২০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘের দৌড়ে নামল সে, অর্থাৎ ১,৪০০ মিটারের দৌড়ে৷ এবং জিতেছে দ্বিতীয় ঘোড়ার চেয়ে প্রায় তিন লেন্থে, অর্থাৎ তিন অশ্বদৈর্ঘে এগিয়ে থেকে৷ ব্ল্যাক ক্যাভিয়ার এর পরের দু'সপ্তাহেও ট্র্যাকে নামছে৷ কাজেই হপ্তা দু'য়েকের মধ্যেই তার রেকর্ড এবং ট্যালি বিশের মধ্যে বিশে দাঁড়াতে পারে৷

ব্ল্যাক ক্যাভিয়ারের জন্ম ২০০৬ সালের ১৮ই অগাস্ট৷ ২০১০ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন স্প্রিন্টার হিসেবে নির্বাচিত হয় সে৷ তার ট্রেনার পিটার মুডি থাকেন মেলবোর্নে৷ তার স্থায়ী জকি'র নাম লিউক নোলেন৷ কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হল, ব্ল্যাক ক্যাভিয়ার এ'যাবৎ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের মতো অর্থ জিতেছে৷

অথচ ব্ল্যাক ক্যাভিয়ার রেসের মাঠে যাদের অবলীলাক্রমে পিছনে ফেলে রেখে জিতছে, তারাও যে খুব খারাপ দৌড়য়, এমন নয়৷ ট্রেনার মুডি বলেছেন, ‘‘ও যে ভালো ভালো ঘোড়ার কি দশা করে, বিশ্বাস করা শক্ত৷ চমকে যেতে হয়৷ অথচ আমরা কোনোদিনই ও'কে চাপ দিইনি৷'' শনিবার মোলবোর্নের দৌড়েও ব্ল্যাক ক্যাভিয়ারকে যা'কে বলে কিনা ফুল স্ট্রেচ'এ যেতে হয়নি৷ ‘‘আমি ও'কে ৫০ গজের মাথায় একটু তাড়া দিয়েছিলাম, তারপরে আমি গতিবেগ কমিয়ে আনি,'' বলেছেন জকি লিউক নোলেন৷

রেসের মাঠে ত্রিশ হাজার দর্শকের মধ্যে ব্ল্যাক ক্যাভিয়ারের অনেক ফ্যান ছিল৷ অনেকে এসেছিলেন বিদেশ থেকে৷ কিন্তু ব্ল্যাক ক্যাভিয়ারের উপর বাজি ধরে বড়লোক হওয়ার আশা করা চলে না৷ এক ডলার বাজি ধরলে বড়জোর পাঁচ সেন্ট মুনাফা করা যায়, কেননা ব্ল্যাক ক্যাভিয়ার যে জিতবে, তা সবাই জানে৷ এক উপায় থাকে: আশ্চর্য ঘোড়াটিকে কিনে ফেলা৷ মুশকিল এই. তার দামও আবার প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ লাখ মার্কিন ডলার৷ তবে ব্রিটেন গেলে জুন মাসে তাকে রয়াল অ্যাস্কট ঘোড়দৌড়ে দেখতে পাবেন৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য