1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সত্তরেও বিপুল প্রত্যাশা স্টিফেন হকিং'কে ঘিরে

১১ জানুয়ারি ২০১২

শারীরিকভাবে পঙ্গু, অথচ অসাধারণ মেধাসম্পন্ন বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং গত সপ্তাহান্তে ৭০ বছরে পা দিলেন৷ আইনস্টাইনের পর অন্য কোনো বিজ্ঞানী খ্যাতির এই শিখরে পৌঁছতে পারেন নি৷

https://p.dw.com/p/13hCN
স্টিফেন হকিংছবি: dapd

গত সপ্তাহান্তে অসুস্থতার কারণে তিনি নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি৷ কিন্তু থেমে নেই তাঁর কাজ, তাঁর ভাবনা-চিন্তা৷ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান তুলে ধরেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড.দীপেন ভট্টাচার্য৷ তিনি মনে করেন, সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজে স্টিফেন হকিং'এর অবদান বোঝা বেশ কঠিন৷ বিশেষ করে ‘ব্ল্যাক হোল' নিয়ে তাঁর গবেষণা বিজ্ঞান জগতে বিপুল সাড়া তুলেছে৷ মহাজাগতিক এই রহস্যময় বস্তু, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং সৃষ্টির আদি যুগে ‘ব্ল্যাক হোল'এর ভূমিকার নানা দিক তুলে ধরেছেন এই বিজ্ঞানী৷

নিজের গবেষণার বিষয় এত জটিল হওয়া সত্ত্বেও একাধিক বই লিখে বিজ্ঞানকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার চেষ্টা করে চলেছেন বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং৷ সত্তরের দশকে কার্ল সাগান যেভাবে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছিলেন, হকিং'ও সেই পথেই চলেছেন৷ শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে অবশ্য শুধু বই লিখেই এক্ষেত্রে অবদান রাখছেন তিনি৷

স্টিফেন হকিং'এর কাছে প্রত্যাশার কোনো সীমা নেই৷ আইনস্টাইনের মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব ও কোয়ান্টাম মেকানিক্স'এর তত্ত্বকে এক করে কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি তত্ত্বের জন্ম দেবে বলে আশা করে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ হকিং এবিষয়ে কাজ করে চলেছেন৷ ফলে তিনি এই রহস্যের সমাধান করবেন, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷

সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক