1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ই-কোলাই মহামারির উৎস সম্ভবত ‘অঙ্কুরে’

৬ জুন ২০১১

লেটুস, মুগ কি মসুর ডাল, মেথি, আজুকি শিম, আলফালফা ইত্যাদির বীজ থেকে নির্গত অঙ্কুর ইউরোপ এবং জার্মানিতে সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়৷ সেরকম সিড স্প্রাউটস বা বীজের অঙ্কুর থেকেই নাকি ই-কোলাই’এর ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়েছে৷

https://p.dw.com/p/11Uuk
বিভিন্ন ধরনের স্যালাদ স্প্রাউটস৷ছবি: Fotolia/ExQuisine

প্রথমে স্প্যানিশ শসা, তারপর টমেটো এবং লেটুস ইত্যাদি নানা শাকসবজির ওপর অন্যায় দোষ চাপিয়ে এবার অপরাধী সাব্যস্ত হল সিড স্প্রাউটস৷ উত্তর জার্মানির ল্যুনেবের্গ শহরের কাছে বিনেনব্যুটেল গ্রামের একটি ছোট্ট খামার৷ তাদের কাজই হল এই ধরনের সালাদ স্প্রাউটস চাষ করে সেগুলো কাছাকাছি খুচরো গ্রাহক - যেমন রেস্তরাঁ ইত্যাদি - এবং শাকসবজির বড় পাইকারদের কাছে বিক্রি করা৷ মনে রাখা দরকার, ই-কোলাই'এর প্রকোপ এবার উত্তর জার্মানিতেই সবচেয়ে বেশি, যেমন হামবুর্গ শহরে৷ ওদিকে বিনেনব্যুটেল গ্রামটি হামবুর্গ থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে৷

খামারটিতে ই-কোলাই সংক্রমণের নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ সেই সঙ্গে ঐ খামারে কাজ করেন, এমন দু'জন মহিলার আবার পেটের রোগ ধরা পড়েছে৷ এবং তাঁদের মধ্যে একজন সত্যিই ই-কোলাই'তে আক্রান্ত৷

NO FLASH EHEC Bakterien
ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে খুনি ব্যাকটেরিয়া৷ছবি: picture alliance/dpa

এখন প্রশ্ন হল, ঠিক ঐ স্প্রাউটসের খামারটিই ই-কোলাই সংক্রমণের এরকম কেন্দ্র হয়ে উঠল কী করে৷ কাঁচের ঘরে স্প্রাউটস চাষ করার সময় তাপমাত্রা রাখা হয় ঠিক ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ সেটা আবার সব ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধির পক্ষেও আদর্শ৷ ঠিক ঐ কারণেই জার্মান বিজ্ঞানীরা বায়োগ্যাস, অর্থাৎ গোবর গ্যাস প্ল্যান্টগুলোকেও সন্দেহ করছেন৷ সেখানেও তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকে৷ ঐ প্ল্যান্টগুলোতে গোবর এবং অন্যান্য উদ্ভিদ ও জৈবিক বর্জ্য পচিয়ে গ্যাস উৎপাদন করা হয়৷ কাজেই ঐ ট্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন প্রজাতিগুলি মিশিয়ে নতুন নতুন সংকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি করার কারখানা হয়ে উঠেছে৷ এই মারাত্মক ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেইনটিও সেখানেই সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে, বলছেন বিজ্ঞানীরা৷ এখন ঐ বায়োগ্যাস ট্যাংকগুলি থেকে তরল সার যদি মাঠেঘাটে ছড়ানো হয়, তাহলে সেখান থেকে শাক-সবজি-সালাদে পৌঁছনোটা খুব শক্ত ব্যাপার নয়৷

কিন্তু জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডানিয়েল বার এখনও বলছেন, সংক্রমণের উৎস জানা নেই এবং তা হয়তো এখনো সক্রিয়ই আছে৷ কাজেই তিনি আগের মতোই কাঁচা টমেটো, লেটুস, শসা খেতে বারণ করছেন৷ সাবধানের মার নেই!

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই