1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবকিছুর ওপরে ভালোবাসা

৬ সেপ্টেম্বর ২০১০

বিয়ে৷ দু’জন মানুষের সারাজীবন একসঙ্গে পথচলা৷ এ নিয়ে কত জল্পনা-কল্পনা, কত আচার-অনুষ্ঠান, কতই না রীতিনীতি৷ এক সমাজ থেকে অন্য সমাজে বিয়ের পোশাক, অলংকার সবকিছুতেই রয়েছে বৈচিত্র্য৷

https://p.dw.com/p/P4vh
থাইল্যান্ড, বিয়ে, অনুষ্ঠান, ইউরোপ
থাইল্যান্ডের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানছবি: picture-alliance/dpa

এই ব্রিটেনের কথাই ধরুন৷ সেখানে বিয়ের সময় কনের বাঁ হাতের চতুর্থ আঙ্গুলে অর্থাৎ অনামিকায় আংটি পড়ানো হয়৷ এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয় এভাবে, বাঁ হাতের অনামিকার শিরা সরাসরি হৃদয়ের সঙ্গে যুক্ত৷ তাই সেই আঙুলে আংটি পরিয়ে কনেকে হৃদয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়৷ এর ঠিক উল্টো ব্যাপার ঘটে লাটভিয়া ও গ্রীসে৷ সেখানে কনের ডান হাতের আঙ্গুলে পরানো হয় বিয়ের আংটি৷ বলা হয়, ধর্মীয় আচরণ ও নৈতিকতার সঠিক প্রকাশ ঘটে ডানহাতে৷ তাই এই হাতেই পরানো উচিত আংটি৷

এই ব্যাপারগুলো যে কেবল বিয়ের ক্ষেত্রেই ঘটে তা কিন্তু নয়৷ রিগার নাইট ক্লাবগুলোতে লাটভিয়ান ও ব্রিটিশরা আড়চোখে নাচের সঙ্গীদের আঙ্গুলের দিকে তাকায়৷ বোঝার চেষ্টা করে কে বিবাহিত আর কে অবিবাহিত!

আবার ডেনমার্কের ঐতিহ্য, বিয়ের দিন সকালে নাস্তা করার পর বরের বন্ধুরা তার জুতোটিকে চুরি করে নেয়৷ এরপর মোজার সামনের অংশটা দেয় কেটে৷ যাতে করে বর তার নববধুকে রেখে সে রাতে অন্তত বাইরে বের হতে না পারে৷

গ্রিসে এরকম আরেকটি ঐতিহ্য আছে৷ কনের পরিবার, ফুলশয্যাটিকে শুধু ফুলের পাপড়ি নয়, টাকা-পয়সা, মিষ্টি এসব দিয়ে সাজিয়ে রাখে৷ তারা বিশ্বাস করে, এটা বিবাহিত জীবনের সৌভাগ্যের প্রতীক৷

অন্যদিকে রাশিয়ায়, বিয়ের অনুষ্ঠানের পর কনেকে সাতটি সেতু পার হয়ে তারপর পৌঁছুতে হয় বরের কাছে৷ বলা হয়, এতে করে তারা অনাগত ভবিষ্যতের পথ একসঙ্গে পাড়ি দিতে পারবে৷

তবে যত রীতিনীতিই থাক! বিয়ের প্রথম শর্তই হচ্ছে ভালোবাসা, আত্মার বন্ধন৷ যেখানে ভালোবাসা নেই সেখানে বিয়ে সামাজিক স্বীকৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়৷

আর তাই সবার ওপরে হল ভালোবাসা৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়