1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘শিশু যোদ্ধা’ নিয়োগ বেড়েছে

কেট ব্রাডি/এআই১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আফগানিস্তানে শিশুদের যুদ্ধে সৈনিক হিসেবে ব্যবহার বাড়িয়েছে তালেবান, দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ কিছুক্ষেত্রে দশ বছর বয়সি শিশুদের সৈনিক হিসেবে ব্যবহারের তথ্য মিলেছে৷

https://p.dw.com/p/1Hwmx
Afghanistan Kindersoldat Symbolbild
ছবি: picture alliance/Tone Koene

আফগানিস্তানের কুন্দুস প্রদেশের একটি জেলায় গতবছর কমপক্ষে ১০০ শিশুকে সৈনিক হিসেবে যুদ্ধে নিয়োগ করেছে তালেবান, বুধবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডাব্লিউ) এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য৷

যদিও গত নব্বই দশক থেকে তালেবান শিশুদের সৈনিক হিসেবে ব্যবহার করছে, তাসত্ত্বেও কুন্দুসের স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিশ্লেষকরা বলছেন গত বারো মাসে এই ব্যবহারের পরিধি অনেক বেড়েছে৷ গত এপ্রিল থেকে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি৷ আর সেসব হামলায় ব্যবহার হচ্ছে শিশু সৈনিকরাও৷

তবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে ১৫ বছর কম বয়সি কাউকে যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়৷

এইচআরডাব্লিউ-র গবেষণা মূলত কুন্দুসকে ঘিরে৷ সংস্থাটি মনে করে, সেখানকার মাদ্রাসাগুলোতে শিশুদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷ বিশেষ করে কিভাবে অস্ত্র পরিচালনা করতে হয় এবং বোমা তৈরি ও ব্যবহার করতে হয় তা শিখানো হয় শিশুদের৷ আর মূলত গরিব পরিবারের শিশুরা এসব মাদ্রাসার শিক্ষার্থী

তালেবান অবশ্য শিশুদের যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ তাদের দাবি হচ্ছে, শারীরিক এবং মানসিকভাবে পরিপক্কদের সৈনিক হিসেবে নিয়োগ করা হয় এবং যাদের এখনো দাঁড়ি গজায়নি তাদের কোনো অভিযানে অন্তর্ভূক্ত করা হয় না৷

উল্লেখ্য, কুন্দুসে ২০১৪ সাল অবধি ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী অবস্থান করেছে৷ তারা সেখান থেকে চলে আসার পর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রদেশটির অধিকাংশ এলাকা তালেবান দখল করে নেয় এবং এখনো সেসব অঞ্চল জঙ্গি গোষ্ঠীটির দখলে রয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য