1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘যুদ্ধের ঘোড়া’

২৬ জানুয়ারি ২০১২

স্টিভেন স্পিলবার্গ’এর ‘‘ওয়ার হর্স’’ ছবিটি এবার ছ’টি অস্কারের জন্য মনোনীত৷ হলিউডের অশ্বপ্রীতির এই সর্বাধুনিক নমুনাতেও যথারীতি চতুষ্পদ অভিনেতারা অস্কার পাবার মতো অভিনয় করেছে৷

https://p.dw.com/p/13q9x
জোয়িছবি: AP

‘‘ওয়ার হর্স'' প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কাহিনি৷ ইংল্যান্ডের একটি খামারে ‘জোয়ি' নামের একটি ঘোড়াকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এক কিশোর৷ জোয়ি'কে ফ্রন্টযাত্রী সৈন্যদের কাছে বেচে দেওয়া হয়৷ সেখান থেকেই জোয়ি'র অ্যাডভেঞ্চারের শুরু৷

অবশ্য এই আয়তনের একটি ছবির জন্য একটি নয়, দু'টি নয়, ১৪টি জোয়ি'র প্রয়োজন পড়েছে৷ এবং তাদের প্রশিক্ষণের জন্য নিযুক্ত ছিলেন ট্রেনার, হ্যান্ডলার এবং ঘোড়াদের মেক-আপ দেওয়ার বিশেষজ্ঞ মিলিয়ে মোট ২২ জন মানুষ - যাদের মধ্যে সর্বাগ্রে নাম করতে হয় ববি লভগ্রেন'এর, যিনি ছিলেন সর্বাঙ্গীণ ‘হর্স মাস্টার'৷

চিত্রপরিচালক স্পিলবার্গ বলেছেন, তিনি চেয়েছিলেন যে ঘোড়াগুলো যেন এমিলি ওয়াটসন কিংবা পিটার মুলান'এর মতোই ‘অভিনয়' করে৷ এবং ঘটনা তা'ই ঘটেছে৷ শুটিং চলার সময় বিভিন্ন দৃশ্যে ঘোড়াগুলো অবিশ্বাস্য প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে৷ যেন তারা জানে তারা কি করছে৷ অবশ্য সেটা অংশত লভগ্রেন ও তার সহকর্মীদের কৃতিত্ব৷ তারাই কোনো ঘোড়াকে ‘জাম্প' করতে, কোনো ঘোড়াকে হোঁচট খেতে, কোনো ঘোড়াকে রুখে দাঁড়াতে, কোনো ঘোড়াকে লাঙল টানতে শিখিয়েছেন৷ অন্যদিকে আবার কিছু অভিনেতাকে ঘোড়ায় চড়তে শেখাতে হয়েছে৷

অভিনেতারাও পরে স্বীকার করছেন যে, তারা ঘোড়াগুলোর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন৷ অভিনেতা হিসেবে দ্বিপদরা ভালো, না চতুষ্পদরা ভালো, সে ব্যাপারে ‘হর্স মাস্টার' ববি লভগ্রেন কোনো মন্তব্য করতে চাননি৷ তার উত্তর হল, ‘‘আমরা সকলেই জানি উত্তরটা কি৷ কাজেই আমি ও'প্রশ্নের কোনো জবাব দেব না৷''

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য