যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম ‘হিরো’ খেলোয়াড়রা
রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে সে দেশের মুসলিম ‘হিরো’ খেলোয়াড় কারা, জানতে চেয়েছেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ‘ডেইলি নিউজ’ ১০ মুসলিম ক্রীড়াবিদের তালিকা প্রকাশ করেছে৷
মুহাম্মদ আলী
হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন মুহাম্মদ আলী ১৯৬৪ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০০১ সালে আলীর হাতে ‘ইউনাইটেড সেরিব্রাল পলসি হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দিয়েছিলেন৷
করিম আব্দুল-জব্বার
এনবিএ বা ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন-র ইতিহাসে অন্যতম সেরা আইকনিক খেলোয়াড়৷ তিনি এনবিএ-র ২০ মৌসুম খেলে ছ’বারই ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ নির্বাচিত হন৷
মাইক টাইসন
মাত্র ২০ বছর বয়সে হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বে পরিচিতি পান টাইসন৷ ১৯৯২ সালে ধর্ষণের দায়ে জেলে থাকার সময় তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন৷ টাইসনকে জেল থেকে বের করায় সহায়তা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
হাকিম ওলাজুওন
নাইজেরিয়ান-অ্যামেরিকান এই বাস্কেটবল খেলোয়াড় রোজা রেখেও ম্যাচ খেলতেন৷ বলা হয়, তিনি নাকি রোজার মাসে একটু বেশি ভালো খেলতেন৷ ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি এনবিএ-র ‘প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ’ নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ অথচ সে বছর রোজা শুরু হয়েছিল ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে!
শাকিল ও’নিল
খ্রিষ্টান মা ও মুসলিম সৎ বাবার সন্তান ও’নিল (ডানে) একবার বলেছিলেন, ‘‘আমি মুসলিম, আমি ইহুদি, আমি বৌদ্ধ, আমি সব কিছু, কারণ আমি একজন মানুষ৷’’ ডেইলি নিউজ-এর মতে, অন্যতম সেরা এই এনবিএ খেলোয়াড় মক্কায় গিয়েছিলেন হজ পালন করতে৷
ব্যার্নার্ড হপকিন্স
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ডাকাতির মামলায় হপকিন্সের (ডানে) ১৮ বছরের জেল হয়েছিল৷ জেলে থাকার সময় তাঁর বক্সিং ও ইসলাম ধর্মের প্রতি আগ্রহ জন্মায়৷ তাই জেল থেকে বেরিয়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং বক্সিং শুরু করেন৷ তিনিই প্রথম বক্সার যিনি চারটি বিশ্ব মিডলওয়েট শিরোপাই জয় করেছেন৷
রশিদ ওয়ালেস
২০০৪ সালের এনবিএ চ্যাম্পিয়ন ডেট্রয়েট পিসটনস-এর অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন ওয়ালেস (বল হাতে)৷ তাঁর স্ত্রীর নাম ফাতিমা৷
মাহমুদ আব্দুল-রউফ
ক্রিস জ্যাকসন ১৯৯১ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হয়ে যান মাহমুদ আব্দুল-রউফ৷ ১৯৯৩ সালে তিনি এনবিএ-র ‘মোস্ট ইমপ্রুভড প্লেয়ার’ খেতাব পেয়েছিলেন৷ তিনি এনবিএ-র নয়টি মৌসুমে খেলেছেন৷
শরিফ আব্দুর-রহিম
মা আমিনা ও বাবা উইলিয়াম আব্দুর-রহিমের ১২ সন্তানের একজন শরিফ৷ ২০০০ সালের অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল দলের সদস্য ছিলেন তিনি৷
মুহাম্মদ উইলকারসন
২৬ বছর বয়সি এই অ্যামেরিকান ফুটবল খেলোয়াড়ের মা হিজাব পরেন৷ ২০১১ সালে এক এগারোর দশ বছর পূর্তিতে তিনি বলেন, ‘‘ইসলাম শান্তির ধর্ম৷ মুসলিম হওয়া মানে আল্লাহর শিক্ষা গ্রহণ করা, যিনি বলেছেন, তোমরা কখনও কারও ক্ষতি করো না, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের৷’’