1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজকলম্বিয়া

বিমান বিধ্বস্ত হলো, বেঁচে গেল চার শিশু!

১৮ মে ২০২৩

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বলছেন খবরটি দেশের জন্য খুব আনন্দের, কারণ, একটি বিমানের বাকি সবাই মারা গেলেও চার জন শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে৷ বিমান দুর্ঘটনার দু সপ্তাহেরও বেশি পরে সুস্থ পাওয়া গেছে তাদের৷

https://p.dw.com/p/4RXed
গহীন বনে কাঁচি শুঁকে দেখছে স্নিফার ডগ
গহীন বনে কাঁচি শুঁকে দেখছে স্নিফার ডগছবি: Colombian army/Handout/AFP

গত পহেলা মে বৈমানিকসহ সাতজনকে নিয়ে অ্য্যামাজোনাস প্রদেশের আরাকুয়ারার এবং গুয়াভিয়ারে প্রদেশের সান হোসে দেল গুয়াভিয়ারে শহরের মাঝামাঝি অঞ্চলের গহীন বনে বিধ্বস্ত হয় একটি বিমান৷ আকাশে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় হঠাৎ মাটিতে ধ্সে পড়া বিমানটির কাউকে জীবিত উদ্ধার করা যাবে এমন আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন সবাই৷ 

বন জুড়ে বিশাল সব গাছ৷ কোনো কোনোটির উচ্চতা ১৩০ মিটারেরও বেশি৷ সব জায়গায় রাস্তা নেই৷ রাস্তা যা আছে সেগুলোও খুব অপ্রশস্ত৷ কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী, দমকল এবং বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগের কর্মীরা তা সত্ত্বেও পাশের খরস্রোতা নদী হয়ে ঢুকে পড়েছিলেন অ্যামাজনে৷ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেশ কিছু কুকুর নিয়ে অভিযান শুরু করা ১০০০-রও বেশি সদস্যের সেই যৌথ বাহিনী  হঠাৎ বনের ভেতরে চুলের ফিতা, কাঁচিসহ এমন কিছু জিনিস দেখতে পায়, যা দেখে মনে হয়েছিল কাছাকাছি কোনো জীবিত মানুষ থাকতে পারে৷ জিনিসগুলো দেখে আরো মনে হয়েছিল জীবিতদের মাঝে শিশুও রয়েছে৷ তাই তিনটি হেলিকপ্টার শুরুতে মানুষের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হতে অ্যামাজনের আকাশে এমনি এমনি টহল দিলেও এক সময় বিমানে যে শিশুরা ছিল, তাদের দাদী, নানীদের ভয়েস মেসেজ রেকর্ড করে বাজাতে শুরু করে৷ সেই বার্তায় দাদী, নানীরা নাতি-নাতনিদের বলছিলেন, ‘‘তোমরা এক জায়গায় থাকো৷ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেয়ো না৷''

শেষ পর্যন্ত তাতেই কাজ হয়েছে৷ দাদী, নানীর কথা শুনে এক জায়গায় থেমে থাকায় উদ্ধারকর্মীরা এক সময় খুঁজে পায় তাদের৷

বুধবার তাই সুখবর দিয়েছে কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী৷ জানিয়েছে, সোম আর মঙ্গলবার প্র্রাপ্ত বয়স্ক তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, অবশেষে বিমানের বাকি চার জনকেও পাওয়া গেছে৷ চারজনকেই পাওয়া গেছে জীবিত অবস্থায়৷ জীবিত চার জনের মধ্যে একজনের বয়স ১৩ বছর, একজনের নয় বছর, একজনের চার বছর এবং বাকি একজনের বয়স মাত্র ১১ মাস! সেনা বাহিনীর বার্তায় আরো জানানো হয়,

আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যাওয়া চার শিশুই হুইটোটো আদিবাসী পরিবারের সন্তান৷ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর তারা জঙ্গলের ভিতরে চলে যায়৷ বিমানের ধ্বংসাবশেষের কাছাকাছি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা জিনিস দিয়ে বনের ভিতরে অস্থায়ী ঘরের মতো কাঠামো তৈরি করে এতদিন থেকেছে তারা৷ ক্ষুধা নিবারণ করেছে বনের ফল, লতা-পাতা খেয়ে৷

চার শিশুকে জীবিত উদ্ধারের খবর টুইটারে সানন্দে প্রকাশ করেছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো, লিখেছেন এটা ‘দেশের জন্য আনন্দের' খবর৷

এসিবি/ কেএম (রয়টার্স, এএফপি)