বাংলাদেশ জার্মানি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বলেছেন, বাংলা ভাষাকে সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে বসাতে হবে৷ জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবেও বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী৷ অথচ জার্মানিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইমেলার আয়োজন করা হয়৷ সেই মেলায় বাংলাদেশ কিংবা বাংলা ভাষা'র উল্লেখযোগ্য বা বড়মাপের অংশগ্রহণ এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি৷ বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি এবছর, মানে ২০১২ সালের অক্টোবরে কয়েকজন লেখক যেন ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় আসেন এবং বইয়ের বিভিন্ন স্টল যাতে নেওয়া হয়৷ সেটা সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে যাতে করা হয়, আমরা সেই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি''৷
বাংলাদেশ ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় সহযোগী দেশ হিসেবে যোগ দিতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘এটা একটু সময়সাপেক্ষ৷ আমি এই মেলার আন্তর্জাতিক বিষয়ক ভাইস-প্রেসিডেন্ট এর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি৷ তারা বলেছেন, প্রথমে তোমরা এসে স্টল এবং লেখকের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণটা ভালোভাবে কর৷ পারলে বইমেলায় ছোট্ট করে একটা কর্নার নিতে পারো৷ এভাবে দু-চার বার অংশগ্রহণের পরে পার্টনার কান্ট্রি হওয়ার প্রস্তাব দিতে পার''৷
চলতি বছর ১০ থেকে ১৪ অক্টোবর ফ্রাঙ্কফুর্টে বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে৷ মান্যবর রাষ্ট্রদূত জানান, এই বইমেলায় বাংলাদেশের ভাল অংশগ্রহণ থাকবে৷
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে উচ্চপর্যায়ের একটি অনুবাদ সংস্থা গড়ে তোলার দাবি রয়েছে, যে সংস্থার কাজ হবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত ভালোমানের সাহিত্য অনুবাদ করা৷ ভাষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই প্রক্রিয়ায় বাংলা ভাষা আরোও সমৃদ্ধ হবে৷ অধ্যাপক সালাহ্উদ্দিন আহমেদ কিছুদিন আগে ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের পর দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও একটি উচ্চপর্যায়ের অনুবাদ সংস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি৷ এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘গত কয়েকদিন আগে আমি যখন ঢাকায় গিয়েছিলাম, তখন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক জনাব শামসুজ্জামানের সঙ্গে আমি আলাপ করি৷ তিনি বলেছেন, তাঁর একটি প্রস্তাব বিবেচনাধীন আছে মন্ত্রণালয়ে৷ বাংলা একাডেমীতে যে অনুবাদ বিভাগ ছিল, সেটিকে পুনঃস্থাপন করতে চান তিনি''৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক