1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী জার্মানি এবং বাংলাদেশ

হোসাইন আব্দুল হাই২৬ জানুয়ারি ২০০৯

এ সপ্তাহে জার্মানির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা দু’দিনের ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশ ও জার্মানির পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/GgQm
বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য হারে পোশাক রপ্তানি হয় থাকেছবি: picture-alliance / Godong

ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাস সূত্রে জানানো হয়েছে, জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তরের সচিব রাইনহার্ড জিলবারবার্গ ২৭ জানুয়ারি সরকারী সফরে ঢাকা পৌঁছবেন৷ এ সময় তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসাইন এর সাথে দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতা বিষয়ে বৈঠক করবেন৷

২৮ জানুয়ারি তাঁরা বাংলাদেশ এবং জার্মানির মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং যৌথ সাংস্কৃতিক উদ্যোগ গ্রহণের ব্যাপারে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷

Reinhard Silberberg, Staatssekretär des Auswärtigen Amtes
জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তরের সচিব রাইনহার্ড জিলবারবার্গছবি: DW

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে জার্মানি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার হওয়ায় দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ক্রমশঃ বাড়ছে৷

যদিও জার্মানিতে দক্ষিণ এশীয়ার এ দেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি সবচেয়ে বেশী হয়, তবে এখন বাংলাদেশ পোশাক ছাড়াও অন্যান্য খাতেও পণ্য রপ্তানির আশা করছে৷

জার্মানি থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাহাজ রপ্তানির অর্ডার পেয়েছে৷ এতদিন জার্মানি বাংলাদেশ থেকে পোশাক তৈরীর যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য এবং জৈব শক্তির জন্য সলিউশনস আমদানী করে আসছিল৷

ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাস জানিয়েছে, ২০০৮ সালের প্রথম অর্ধেকে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে ১৬ শতাংশ এবং ২০০৭ সালে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক বিনিময়ের অংক ছিল দুই বিলিয়ন ডলার৷

জিলবারবার্গ এমন এক সময় বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন যখন দু'বছরব্যাপী সামরিক সমর্থিত অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে৷ নতুন সরকার এর উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে আরো উন্নত সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়৷

এ সপ্তাহের শুরুতে বাংলাদেশ ও জার্মানির শিক্ষাবিদরা ঢাকায় এক বৈঠকে মিলিত হন৷ তাঁরা জার্মানির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসমূহে লেখাপড়া ও যৌথ বৈজ্ঞানিক গবেষণার উপর জোর দেন৷

ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর নজরুল ইসলাম বলেন, দু'দেশের পারস্পরিক সহযোগিতায় মৌলিক ও আধুনিক বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা বিশ্বের অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বেশ সহায়ক হবে৷

ভূগোলের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম পরিবেশ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়ো-টেকনোলজি এবং মোলিকিউলার সায়েন্স সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহকে দু'দেশের বিশেষজ্ঞদের যৌথ গবেষনার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেন৷

এ বৈঠকে উপস্থিত সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ঊর্ধ্বতন শিক্ষকরা বলেন, সম্প্রতি জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ থেকে যে আগ্রহ দেখা গেছে তা বাংলাদেশের শিক্ষানুরাগীদের জন্য একটি ভালো সুযোগ৷

জার্মানির হামবুর্গ ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে৷

বৈঠকে হামবুর্গ ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধি অধ্যাপক হান্স পিটার মুয়েলবাখ বলেন, তাঁরা বাংলাদেশী গবেষকদের সাথে কাজ করতে বেশ আগ্রহী৷ এছাড়া তিনি বিশেষজ্ঞ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য জার্মানির প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশে একটি গবেষণা ইউনিট স্থাপনে তাঁদের পরিকল্পনার কথা জানান৷