নারী শিক্ষা প্রসারে মালালা-অ্যাঞ্জেলিনা
৬ এপ্রিল ২০১৩তালিবানি ফরমান উপেক্ষা করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল মেয়েটি৷ একা নয়, সব মেয়েদের শিক্ষার জন্যই লড়তে চেয়েছিল সে৷ গুলি খেয়েও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আবার লড়াইয়ের ময়দানে ফিরে এসেছে এই কিশোরী৷ তার সাহসকে কুর্নিশ করেছে গোটা বিশ্ব৷ প্রশংসার বন্যা বয়ে গেছে৷ একটি সমীক্ষা অনুযায়ী সে এখন বিশ্বের ষষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যক্তি৷ এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে সে৷
এবার সেই দলে যোগ দিলেন হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, সমাজ সচেতন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে যিনি বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ অ্যাঞ্জেলিনা শুধু কথায় নয়, কাজ করে দেখাতেই অভ্যস্ত৷ তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থারও দূত হিসেবে সক্রিয়৷
সেই অ্যাঞ্জেলিনাই মালালা ইউসুফজাইয়ের সঙ্গে পাকিস্তানে নারীশিক্ষা প্রসারে একটি প্রকল্প শুরু করছেন৷ নিউ ইয়র্কে আয়োজিত নারী বিষয়ক এক সম্মেলনে এই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়৷ ব্রিটেন থেকে পাঠানো মালালার ভিডিও বার্তা দেখে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরেক হলিউড তারকা – মেরিল স্ট্রিপ৷
মালালার মতো অনেক মেয়েই তালেবানের বাধার মুখে স্কুলে যেতে পারছে না৷ তাদের মধ্যে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সি ৪০ জনের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতে মালালা ও অ্যাঞ্জেলিনা একটি তহবিল গঠন করেছেন৷ গরিব পরিবারের এই সব মেয়েদের উপার্জনের জন্য নানা কাজে পাঠানো হয়৷ এই সব পরিবারকে অর্থ সাহায্য করলে তবেই মেয়েরা পড়াশোনার সুযোগ পেতে পারে৷ ঠিক সেটাই চেষ্টা করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে৷
১৫ বছরের কিশোরী তার নিজের সোয়াত উপত্যকায়ই এই প্রকল্প চালাতে চায়৷ জোলি ও দুটি সংগঠনের উদ্যোগে প্রায় ৪৫,০০০ ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে৷ জোলি নিজেই ২ লক্ষ ডলার দেবার অঙ্গীকার করেছেন৷ তবে মাত্র ৪০ জনের জন্য শিক্ষার আলোর ব্যবস্থা করেই খুশি নয় মালালা৷ ৪ কোটি মেয়েদের জন্য শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া পর্যন্ত শান্তি নেই৷
তবে দেশটা পাকিস্তান, এলাকার নাম সোয়াত উপত্যকা৷ তালেবান যে এমন উদ্যোগ ভালো চোখে দেখবে না, তা বলাই বাহুল্য৷ সে কারণে মালালা-অ্যাঞ্জেলিনা প্রকল্পের নাম ও তার সঠিক স্থান গোপন রাখা হচ্ছে৷
এসবি/ডিজি (এপি, এএফপি)