1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুষারপাত আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জর্জরিত গোটা ইউরোপ

২২ ডিসেম্বর ২০০৯

সপ্তাহের শেষে, শুধুমাত্র পোল্যান্ড এবং ইউক্রেনেই প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ জনেরও বেশি মানুষ৷ তার মধ্যে গত তিন দিনে পোল্যান্ডে কমপক্ষে ৪২ এবং ২৭ জন মারা গেছেন ইউক্রেনে৷ এঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন বাসস্থানহীন৷

https://p.dw.com/p/LAGF
বরফে ছেয়ে গেছে ইউরোপছবি: picture alliance / dpa

তুষার ঝড়ের ফলে সৃষ্ট দুর্ঘটনায় জার্মানিতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন৷ দুর্ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রিয়া এবং ফিনল্যান্ডেও৷ এদিকে, ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা নেমে গেছে ৩৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে৷ তাই অধিকাংশ শহরে বিমান, রেল ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে৷

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইংলিশ চ্যানেলের উভয় পাশে আটকা পড়ে আছে প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী৷ গত তিন দিন যাবত ব্রিটেন-ফ্রান্স সুড়ঙ্গ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হলেও, মঙ্গলবার থেকে আংশিক রেল চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে ইউরোস্টার৷ তবে শুক্রবারের আগে ট্রেনগুলি নিয়মিত সময়সূচি মেনে চলতে পারবে না বলে যাত্রীদের সতর্ক করে দিয়েছে তারা৷ এছাড়া, বাণিজ্যিক পরিচালক নিক মেরসার জানিয়েছেন যে, গত সপ্তাহান্তে টানেলের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার যাত্রীর ১৬ ঘন্টা ধরে আটকা পড়ে থাকার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে ইউরোস্টার৷ নিক জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে - সে ব্যাপারে ভবিষ্যতে সচেতন থাকবেন তারা৷

Pannenserie - Eurostar streicht für Samstag alle Tunnelszüge
ইউরোস্টার ট্রেন সার্ভিস বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ আটকা পড়েছেনছবি: picture alliance / dpa

উল্লেখ্য, গত তিন দিন ইউরোস্টার ট্রেন সার্ভিস বন্ধ থাকার ফলে, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামের প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ আটকা পড়েছিলেন৷ শোনা গেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির অনুরোধের ফলেই আবারো তাদের ট্রেন সার্ভিস অবিলম্বে চালু করতে চলেছে ইউরোস্টার৷

ওদিকে ঠাণ্ডা ও তুষারপাতের ফলে, হল্যান্ড এবং পোল্যান্ডেও পরিবহন ব্যাবস্থায় বিপর্যয় নেমে এসেছে৷ তারপরেও বড়দিনের আগে, যাত্রীদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার জন্য ইউরোপীয় বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনগুলি প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ ব্রাসেলস ন্যাশনাল বিমানবন্দরের মুখপাত্র জ্যঁ ভ্যাঁ দর ক্রুসে বলেছেন, ‘‘ফ্লাইট ওঠানামার জন্য আমরা সারাক্ষণই রানওয়ে পরিষ্কার করছি৷ কিন্তু তুষারপাত এভাবে চলতে থাকলে, আমাদের এ কাজ বন্ধ করে দিতে হতে পারে৷''

অন্যদিকে, তীব্র শীতের হাত থেকে রক্ষায় বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ফ্রান্স৷ তাই সোমবার দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় এক ঘন্টার জন্য আলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় প্রশাসন৷ আগামী দিনগুলিতে ইউরোপের উত্তরাংশে আরো তুষারপাতের সম্ভাবনার কথা জানা গেলেও, দক্ষিণের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে জার্মান আবহাওয়া দপ্তর৷

প্রতিবেদন : দেবারতি গুহ, সম্পাদনা : হোসাইন আব্দুল হাই