1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেনিনের সাংস্কৃতিক অঙ্গন জাগাতে জার্মান উদ্যোগ

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১

মধ্যপ্রাচ্যে চলে আসা বৈরিতার অবসানে নানা উদ্যোগ নিয়ে এবার এগিয়ে এসেছেন জার্মান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা৷ তৈরি করছেন প্রামাণ্যচিত্র এবং আরো অনেক ছবি৷ তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে সেগুলোর প্রদর্শনী বাধাগ্রস্ত হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/12jdO
ছবি: picture-alliance/dpa

পশ্চিম তীরের ছোট্ট শহর জেনিন৷ ২০০৫ সাল পর্যন্ত শহরটি তেমন কোন আলোচনায় ছিল না৷ কিন্তু ঐ বছরের একটি লোমহর্ষক ঘটনা নাড়া দেয় বিশ্ববাসীর মন৷ ১১ বছরের ছোট্ট বালক আহমেদ খতিব তার খেলনা জলবন্দুক নিয়ে খেলছিল৷ অথচ ঐ খেলনা বন্দুককে আসল মারণাস্ত্র মনে করে ছোট্ট বালক আহমেদকে গুলি করে হত্যা করেছিল ইসরায়েলি সেনারা৷ তবে ঘটনার এখানেই শেষ নয়৷

আদরের সন্তান আহমেদকে হারিয়েও ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধের কথা ভাবেননি আহমেদের পিতা ইসমাইল খতিব৷ তিনি মহানুভবতার রেকর্ড সৃষ্টি করেন প্রিয় ছেলের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ইসরায়েলিদের দান করার সিদ্ধান্ত নিয়ে৷ আহমেদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করে সেসময় পাঁচটি ইসরায়েলি শিশুর জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল৷ আর এমন মহান কাজের জন্য মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হন ফিলিস্তিনি বাবা ইসমাইল খতিব৷ ফলে খতিবের নাম মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির প্রতীক হয়ে ওঠে৷

Palästinenser Westjordanland Kino Cinema Jenin eröffnet
ছবি: AP

এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে ‘জেনিনের হৃদয়' নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করা হয় ২০০৮ সালে৷ ছবিটির জার্মান পরিচালক মারকুস ফেটার সেটির মহরত জেনিনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ অথচ ১৯৮৭ সালে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েল বিরোধী আন্দোলনের সময় থেকে জেনিন শহরে চলচ্চিত্রের নাম-গন্ধও নেই৷ তাছাড়া এই ছবিতে ফুটে উঠে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংহতির বাণী৷ তাই স্থানীয় মতমোড়লদের বিরোধিতা ছিল সেখানে প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শনে৷ তবে পরিচালক ফেটার এবং ইসমাইল খতিবের প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ২০১০ সালে ছবিটি জেনিনে প্রদর্শিত হয়৷

জেনিনের সংস্কৃতি জগতকে চাঙ্গা করতে ফেটার ও খতিবের সাথে কাজ করছেন প্রায় একশ' জার্মান ও ফিলিস্তিনি তরুণ-তরুণী৷ প্রথম কাজের সাফল্যের পর এবার জেনিনের চলচ্চিত্র জগত নিয়ে আরেকটি ছবি করছেন ফেটার৷ এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিনেমা জেনিন'৷ এই ছবিটিতে থাকা সংগীতগুলোর মধ্যে রয়েছে ইরানি সুরকার কাইহান কালোরের সৃষ্ট সুর-সংগীত৷ কালোরসহ মিশর, ইসরায়েল ও মার্কিন শিল্পীদের সংগীত নিয়ে শনিবার জার্মানির শহর ড্রেসডেনে আয়োজন করা হয়েছে সংগীত আসর ‘ড্রেসডেন সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা'৷ সেখানে দেখানো হবে ‘সিনেমা জেনিন' এর কিছু বিশেষ দৃশ্য৷

পশ্চিম তীরের শহর জেনিনেও এমন সংগীত আসর আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে অর্কেস্ট্রার পরিচালক মারকুস রিন্ডট-এর৷ তবে সেজন্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির দিকে চেয়ে আছেন জার্মান আয়োজকরা৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন