1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুটবল মাঠে নিরাপত্তা

১৩ ডিসেম্বর ২০১২

জার্মান ফুটবলের বুন্ডেসলিগা ও দ্বিতীয় ডিভিশন মিলিয়ে ৩৬টি ক্লাব স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা বাড়ানোর এক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে৷ উদ্দেশ্য হল, স্টেডিয়ামে ফুটবল ফ্যানদের গুণ্ডামি রোখা৷ তবে ফ্যানরা তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/171g8
Ein Polizist zieht am 23.11.2012 in Stuttgart (Baden-Württemberg) während eines Pressetermins im Rahmen einer Polizeiübung einem Mann ein Bengalo aus der Tasche (gestellte Szene). Mit speziell ausgebildeten Hunden kontrolliert die Bundespolizei Stuttgart seit einem Jahr immer wieder Fußballfans aus Baden-Württemberg während der Anreise mit dem Zug auf mitgeführte Pyrotechnik und Feuerwerkskörper. Foto: Marijan Murat/dpa (zu dpa «Polizeihunde in Baden-Württemberg können Pyrotechnik » vom 23.11.2012)
ছবি: picture-alliance/ dpa

বুধবার ফ্রাংকফুর্টে একটি সম্মেলনে স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই প্রস্তাবাবলী গৃহীত হয়৷ জার্মান ফুটবল লিগ ডিএফএল ছিল এই সম্মেলনের উদ্যোক্তা৷

প্রস্তাবগুলি পেশ করা হয় ‘‘স্টেডিয়ামে নিরাপদ অভিজ্ঞতা'' নামধারী একটি শ্বেতপত্রে৷ ফুটবল ফ্যানরা কিন্তু গোড়া থেকেই এই নতুন কর্মসূচির অনেক সূত্রে এবং শর্তে সন্তুষ্ট নয়৷ এবং তারা তাদের সেই অসন্তোষ জানিয়েছে অভিনব পন্থায়৷ যেহেতু ডিএফএল'এর সম্মেলনটি ১২.১২.১২ তারিখে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেহেতু ফ্যানরা সপ্তাহান্তের বহু ম্যাচ শুরু হবার প্রথম বারো মিনিট বারো সেকেন্ড পুরোপুরি নীরব থেকেছে৷ এই পন্থায় তারা স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছে, স্টেডিয়ামে ফ্যানরা না থাকলে বুন্ডেসলিগার কি দশা হতে পারে৷

ফ্রাংকফুর্টে বুন্ডেসলিগার মাত্র একটি দল, কোলোন, এবং দ্বিতীয় ডিভিশনের একটি দল, সাংক্ত পাউলি, শ্বেতপত্রটি প্রত্যাখ্যান করেছে৷ দু'টি ক্লাবের ফ্যানরাই বিশেষরকম উগ্র ফ্যান৷ বুধবার ফ্রাংকফুর্টের শেরাটন কংগ্রেস হোটেলের সামনে এ'ধরণের পোড়-খাওয়া ফ্যানরাই হাতে লাল শালু নিয়ে বিক্ষোভ জানিয়েছে৷

DUESSELDORF, GERMANY - NOVEMBER 30: Fans of Frankfurt throw smokebombs during the Bundesliga match between Fortuna Duesseldorf and Eintracht Frankfurt at Esprit-Arena on November 30, 2012 in Duesseldorf, Germany. (Photo by Christof Koepsel/Bongarts/Getty Images)
ড্যুসেলডর্ফের মাঠে ভক্তদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণছবি: Getty Images

মিডিয়ার চাপ, রাজনীতির তাগিদ

গত মরসুমে তো বটেই, এমনকি চলতি মরসুমের সূচনাতেও একাধিক স্টেডিয়ামে একাধিক ম্যাচে গোলযোগের সৃষ্টি হয়েছে ফ্যানদের উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে৷ গত সোমবার ছিল জার্মান কাপের একটি খেলা, হ্যানোভার এবং ড্রেসডেনের মধ্যে৷ সেখানে গোলযোগ ঘটায় জার্মান ফুটবল সমিতি ডিএফবি হ্যানোভারকে অর্থদণ্ড দিয়েছে এবং ড্রেসডেনকে জার্মান কাপ থেকে বাদ দিয়েছে - খুবই কড়া শাস্তি, যেন ডিএফবি দেখানোর চেষ্টা করছে যে, তাদের ধৈর্য্যেরও একটা সীমা আছে৷

ইতিপূর্বে ফুটবল ফ্যানদের দাঙ্গা সংক্রান্ত একটি সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয় যে, জার্মান ফুটবলে ফ্যানদের সহিংসতা বাড়ছে৷ অপরদিকে চাপ আসে নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়ার মতো রাজ্যের তরফ থেকে, যাদের এলাকায় একাধিক প্রথম সারির ক্লাব রয়েছে৷ এই সব ক্লাবের ফুটবল খেলায় পুলিশি ব্যবস্থা করতে সরকারের খরচ চরমে গিয়ে পৌঁছেছে৷ এই সব রাজ্য চায় সেই ব্যয় কমাতে৷ শ্বেতপত্রেই রয়েছে, ক্লাবগুলো এই পুলিশি খরচার একাংশ বহন করবে৷

অপরাপর ব্যবস্থার মধ্যে স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় পুরো বডি সার্চ, স্টেডিয়ামে আরো বেশি ভিডিও ক্যামেরা বসানো এবং স্বভাবতই গুণ্ডাদের জন্য আরো কড়া শাস্তি: যেমন তাদের স্টেডিয়ামে ঢোকাই নিষেধ করে দেওয়া৷ স্টেডিয়ামে রংমশাল গোত্রীয় বাজি নিয়ে ঢোকা এমনিতেই নিষেধ ছিল, এখন সে নিয়ন্ত্রণ আরো কার্যকরি করা হবে৷

ওদিকে ফ্যানদের মূল চিন্তা হল: এ'সবের ফলে আবার স্টেডিয়ামে টিকিটের দাম বাড়বে না তো?

এসি / জেডএইচ (ডিপিএ, এসআইডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য