1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিকা মারা’দের শহর বার্লিন

১৮ জুলাই ২০১১

‘চিকা মারা’ শব্দটির সঙ্গে বাঙালির পরিচয় অনেক দিনের৷ জার্মানির বার্লিনেও রয়েছে এই সংস্কৃতি৷ তবে সেটার উদ্দেশ্য ভিন্ন৷

https://p.dw.com/p/11yua
এল বুখো’র একটি স্ট্রিট আর্টছবি: picture-alliance/Wolfram Steinberg

রাস্তায় বা দেয়ালে কোনো কিছু লেখা বা ছবি আঁকার বিষয়টি ‘চিকা মারা' নামে পরিচিত৷ এ হলো গ্রাফিতি৷ সভ্য ভাষায় এর নাম ‘স্ট্রিট আর্ট'৷ প্রতিবাদ জানাতে বা কোনো কিছু সম্পর্কে মতামত দিতে ব্যবহার হয় এই শিল্পের৷ যেমন জার্মানির স্ট্রিট আর্টিস্ট অ্যামেস সাধারণত সেনা-বিরোধী ছবি এঁকে থাকেন৷ আর এল বুখো নামের আরেক স্ট্রিট আর্টিস্ট জনপ্রিয় কমিক চরিত্রগুলো দিয়ে সাম্প্রতিক নানান বিষয় সম্পর্কে ছবি আঁকেন৷

Messe Stroke.03 in Berlin Flash-Galerie
ছবি: DW

এই ধরণের আঁকাআঁকি শুরু হয়েছিল প্যারিসে৷ এরপর সেটা বিশ্বের নানান দেশের বড় বড় শহরে ছড়িয়ে পড়ে৷ এর রেশ পড়েছে বার্লিনেও৷ শহরের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বাড়ি, ল্যাম্পপোস্ট বা কোনো প্রতিষ্ঠানের দেয়াল সব জায়গায় স্ট্রিট আর্টিস্টদের কাজ দেখা যায়৷

এই ধরনের শিল্পীরা ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়ির দেয়ালেও চিকা মেরে থাকেন৷ ফলে বেশিরভাগ বাড়িওয়ালারই তোপের মুখে পড়তে হয় তাদের৷ কিন্তু যেহেতু রাতের আঁধারে কাজগুলো হয়ে থাকে তাই রাগের সামনে পড়তে হয়না স্ট্রিট আর্টিস্টদের৷

এছাড়া কোনো কোনো শহরের নিরাপত্তা বাহিনীও বেশ কড়া এসব ক্ষেত্রে৷ কেননা আইনের চোখে চিকা মারা অবৈধ৷

তবে বার্লিনের স্ট্রিট আর্ট নিয়ে বই লিখেছেন এমন একজন কাই ইয়াকব বলছেন, সমাজের একটা বড় অংশের কাছে স্ট্রিট আর্ট এখন অনেকটা গ্রহণযোগ্য৷

এই শিল্প নিয়ে সিনেমাও তৈরি হয়েছে৷ যার নাম ‘এক্জিট থ্রু দ্য গিফট শপ'৷ ব্রিটিশ স্ট্রিট শিল্পী ব্যাংকসি বানিয়েছিলেন ছবিটি, যেটা মুক্তি পেয়েছে গত বছর৷ বেশ হিট হয়েছিল ছবিটি৷ ফলে বোঝা যায়, ধীরে ধীরে মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে এই শিল্প৷

তাই আজকাল অনেক গ্যালারি স্ট্রিট আর্টিস্টদের ছবি বিক্রির উদ্যোগ নিচ্ছে৷ এবং এতে উল্লেখযোগ্য সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে৷ ফলে একসময় শুধুই আনন্দের বিষয় হলেও স্ট্রিট আর্ট এখন একটা পেশা হয়ে উঠছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক