1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাবারে বিষ মিশিয়ে চামড়ার জন্য সুন্দরবনে বাঘ হত্যা করছে একাধিক গ্রুপ

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১

সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করে বাঘ হত্যা করছে শিকারীরা৷ তারা অন্য কোন পশু মেরে তার মাংসে বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে বাঘের চলাচল পথে রেখে দেয় এবং বাঘ তা খেয়ে মারা যায়৷

https://p.dw.com/p/10KHp
ছবি: AP

বাঘের চামড়া, মাথা এবং হাড়সহ গ্রেফতার হওয়ার পর রিমান্ডে শিকারী জামাল ফকির একথা স্বীকার করেছে৷ সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দো ডয়চে ভেলেকে এ তথ্য জানিয়েছেন৷ তিনি জানান, সুন্দরবনে এরকম একাধিক গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে৷

জামাল ফকিরকে বাঘের ৩টি চামড়া, ৪টি মাথা এবং ৩১ কেজি হাড়সহ কোস্টগার্ডের সহায়তায় বন বিভাগের কর্মকর্তারা গত বুধবার রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন বাংলাবাজার থেকে আটক করেন৷ তাকে এখন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দো ডয়চে ভেলেকে জানান, শুকরের মাংসে ফুড়াডন জাতীয় বিষ মিশিয়ে তারা ৩টি বাঘ হত্যা করে৷ সুন্দরবনেই তারা চামড়া, মাথা ও হাড় শুকানোর পর লোকালয়ে আসে৷ তাদের গ্রুপে মোট ৫ জন সদস্য ছিল৷ তবে অন্য ৪ জনকে ধরা যায়নি৷

Flash-Galerie Tiger (Indien)
ছবি: AP

তিনি জানান, এর আগেও বাঘের চামড়াসহ চোরা শিকারীদের তারা গ্রেফতার করছেন৷ সুন্দরবনে বাঘ হত্যা করে চামড়া সংগ্রহের জন্য একাধিক গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে৷

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান উদ্ধার করা বাঘের চামড়া, মাথা ও হাড় তারা শিকারীদের কাছ থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকায় কেনার কথা বলে কৌশলে আটক করেন৷ এজন্য ১০ হাজার টাকা অগ্রিমও দেয়া হয়েছিল৷

তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে বাঘের চামড়া প্রধানত স্থানীয় চোরাকারবারীদের মাধ্যমে চীন এবং থাইল্যান্ডের পাচার হয়৷ এজন্য অনেক সময় তারা এখানকার চোরাকারবারীদের অগ্রিম টাকাও দেয়৷ চোরা শিকারী জামাল ফকির ধরা পড়ার পর বাঘ রক্ষায় সুন্দরবনে নজরদারি ও টহল বাড়ানোর কথা জানান তিনি৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন