1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট মিসাইল দেওয়ার আর্জি পোল্যান্ডের

২৫ নভেম্বর ২০২২

জার্মানির কাছে এই আবেদন জানিয়েছে পোল্যান্ড। জার্মানি অবশ্য এখনই তা ইউক্রেনকে দিতে নারাজ।

https://p.dw.com/p/4K2IN
জার্মানির প্যাট্রিয়ট মিসাইল
ছবি: Simon Jankowski/NurPhoto/picture alliance

জার্মানির কাছে ১২টি অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট মিসাইল আছে। অ্যামেরিকার তৈরি মিসাইলের একটি জার্মানি পোল্যান্ডকে দিতে চেয়েছিল। গত সপ্তাহে পোল্যান্ডে মিসাইল হামলা হয় এবং দুইজনের মৃত্যু হয়। তারপরেই জার্মানি পোল্যান্ডকে এই মিসাইল সিস্টেম দিতে চেয়েছিল। কারণ, এই মিসাইল সিস্টেমে অত্যাধুনিক সারফেস টু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে।

বৃহস্পতিবার পোল্যান্ড দাবি করেছে, তাদের জায়গায় জার্মানি ওই মিসাইল সিস্টেম ইউক্রেনকে দিক। কিন্তু জার্মানি জানিয়েছে, প্যাট্রিয়ট মিসাইল কেবলমাত্র ন্যাটোর অন্তর্গত দেশগুলিকেই দেয়া সম্ভব। পোল্যান্ড ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত দেশ। ইউক্রেন ন্যাটোয় ঢুকতে চাইলেও এখনো তারা সদস্য নয়। ফলে তাদের এই মিসাইল দেওয়া যাবে না। জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মিসাইল ইউক্রেনকে দিতে হলে ন্যাটোয় আলোচনা করতে হবে। সকলে সম্মত হলে তবেই তা ইউক্রেনকে দেওয়া সম্ভব।

অ্যামেরিকার তৈরি এই অস্ত্র জার্মানির কাছে ১২টি আছে। তার মধ্যে দুইটি জার্মানি আগেই স্লোভাকিয়াকে দিয়েছিল। একটি তারা পোল্যান্ডকে দিতে চেয়েছিল। এদিন পোল্যান্ডের আবেদনের পর এস্টোনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এবিষয়ে ন্যাটোর দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত। তিনি বলেছেন, ''রাশিয়া চায় ন্যাটোর ভিতর ভাঙন ধরাতে। কিন্তু আমরা কোনোভাবেই তা হতে দেব না।'' ডিডাব্লিউয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পোল্যান্ডে মিসাইল হামলার ঘটনা তিনি 'ওয়েকআপ কল' বলে মনে করেন কি না। তার উত্তর, ''আমরা অনেক আগেই জেগে গেছি।''

প্যাট্রিয়ট মিসাইল অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। আগামী ৪০ বছর ধরে এই সিস্টেমকে আপডেট করা যাবে। ২০৪৮ সাল পর্যন্ত এই মিসাইল সিস্টেম আপডেট করা সম্ভব। এই সিস্টেমে একাধিক রাডার আছে। কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ইউনিট আছে। ৫০টি মিসাইল একসঙ্গে ট্র্যাক করতে পারে এর রাডার। একসঙ্গে পাঁচটি মিসাইলকে ট্র্যাক করে ধ্বংস করতে পারে এই সিস্টেম। ১৬০ কিলোমিটার দূরের ট্রাগেট ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে এই মিসাইল।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)