1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিলিবিয়া

ইইউ-লিবিয়া অভিবাসী চুক্তির সমালোচনায় অ্যামনেস্টি

১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও লিবিয়ার মধ্যকার চুক্তির আওতায় ইউরোপে প্রবেশে মরিয়া অভিবাসীদের পুনরায় আফ্রিকার দেশটির ‘নারকীয়’ পরিবেশে ফেরত পাঠানোর চর্চা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

https://p.dw.com/p/46MkJ
লিবিয়ায় শরণার্থী ও অভিবাসীদের উপর নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে ছবি: Ayman Al-Sahili/REUTERS

অ্যামনেস্টির হিসাব অনুযায়ী, চুক্তিটির আওতায় গত পাঁচ বছরে ৮২ হাজার মানুষকে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে, যেখানে তারা ‘‘নির্বিচারে আটক, নির্যাতন, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা, চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক শ্রম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন৷''

লিবিয়ার সঙ্গে ইইউ'র অভিবাসী সংক্রান্ত চুক্তিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনা চলছে৷ অ্যামনেস্টি এবং অন্যান্য সমালোচকরা মনে করেন, চুক্তিটির মাধ্যমে ইইউ'র বহিঃসীমান্ত নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার্যত লিবিয়াকে দেয়া হয়েছে৷ অথচ ইইউ যে মানবাধিকার রক্ষার কথা বলছে তার উল্টো পরিস্থিতি লিবিয়াতে দেখা যাচ্ছে৷ 

রাজনৈতিকভাবে অস্থির দেশটির সঙ্গে ইইউ'র অভিবাসী সংক্রান্ত সহযোগিতামূলক সমঝোতাগুলো ২০১৬ সালে সম্পাদিত হয়৷ এরমধ্যে লিবিয়ার উপকূলরক্ষীদের আর্থিক এবং অন্যান্য সহযোগিতার বিষয়টি রয়েছে৷ এই উপকূলরক্ষীরা দেশটি থেকে নৌকায় করে ইউরোপগামীদের সমুদ্রের মধ্যে আটকে আবার মূল ভূখণ্ডে ফিরিয়ে নেয়ার দায়িত্ব পালন করছেন৷

অ্যামনেস্টি সোমবার এক বিবৃতিতে লিখেছে, ‘‘সমঝোতাগুলোর কারণে লিবিয়া কর্তৃপক্ষ সমুদ্র থেকে অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিচ্ছে যদিও নির্যাতনের শিকার হতে পারেন এমন কোনো অঞ্চলে একজন মানুষকে পুনরায় ফিরিয়ে নেয়া বৈধ নয়৷''

বিবৃতিতে লিবিয়ায় অভিবাসীদের উপর নির্যাতনের ঘটনার বিচার না হওয়া এবং উল্টো যারা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের পুরস্কৃত করার ঘটনাও উল্লেখ করেছে অ্যামনিস্টি৷ লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটি জানিয়েছে, অভিবাসীদের উপর নিয়মিত নির্যাতন চালানোর অভিযোগ আছে এমন একটি আটক কেন্দ্রের প্রধানকে সম্প্রতি লিবিয়া সরকারের অবৈধ অভিবাসন রোধ সংক্রান্ত একটি বিভাগের প্রধান করা হয়েছে৷

ইউরোপীয় কমিশন অবশ্য মনে করে লিবিয়ার উপকূলরক্ষীরা ‘মানুষের জীবন বাঁচাতে' অবদান রাখছে৷ এবং তাদের কর্মকাণ্ড শুধু লিবিয়ার জলসীমায় সীমাবদ্ধ৷ পাশাপাশি অভিবাসীদের আটকে রাখার কেন্দ্রগুলোকে বন্ধ করে দিতেও লিবিয়ার প্রতি বার্তা দিয়েছে ব্রাসেলস৷

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে লিবিয়ায় ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহে দেশটির স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর পর দেশটি হয়ে আফ্রিকার অভিবাসীদের ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা ব্যাপক আকারে বেড়ে গেছে৷ দেশটির পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল এখন দুটো আলাদা গোষ্ঠী শাসন করছে যাদের প্রতি আবার বিভিন্ন বিদেশি শক্তি এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর সমর্থন রয়েছে৷

এআই/এফএস (এপি)