স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ায় যা ঘটছে
এখন স্মার্টফোন ছাড়া আর জীবন কল্পনা করতে পারেন না বিশ্বের অনেক মানুষ৷ বিশ বছর আগে প্রথম বাজারে আসে মোবাইল ফোন৷ দ্রুতগতিতে এর ব্যবহার বাড়ায় কী ঘটছে দেখি চলুন৷
আকর্ষণীয় ‘ডাইনোসর’
পৃথিবীর প্রথম স্মার্টফোনটি দেখতে ছিল এরকম৷ নকিয়া ৯০০০ কমিউনিকেটরে কম্পিউটারের অনেক ফিচারসহ ছিল অফিস সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজিং এবং ফ্যাক্সের সুবিধা৷ ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট এটির বিক্রি শুর হয়, দাম ছিল ১৪০০ ইউরোর মতো৷
ওজনে হালকা, তবে শক্তিশালী
গতকয়েক বছরে স্মার্টফোন অনেকটা পথ এগিয়েছে৷ ওজন কমেছে, তবে তার অর্থ এই নয় সেটির ক্ষমতাও কমে গেছে৷ বরং আজকের স্মার্টফোনের কম্পিউটিং পাওয়ার চাঁদে অবতরণের জন্য অ্যাপোলো ১১-তে ব্যবহৃত কম্পিউটারের তুলনায় কয়েক মিলিয়ন গুণ বেশি৷
অপ্রত্যাশিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
স্মার্টফোনের জন্য রয়েছে অসংখ্য অ্যাপ, যা এগুলোর ব্যবহারকারীদের সবসময় সক্রিয় থাকতে সহায়তা করে৷ কিছু অ্যাপ আবার কতৃপক্ষকে তথ্যও দেয়৷ ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ বনে অবৈধভাবে কাঠ কাটা রোধে অ্যাপের সহায়তা নিয়ে থাকে৷ এই অ্যাপ গাছ কাটার শব্দ সনাক্ত করে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে৷
ফোন যখন ‘ওয়েদারম্যান’
নেটওয়ার্কিং গ্রুপ ওপেনসিগন্যালের গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোনে থাকা সেন্সর শুধু ব্যাটারির তাপমাত্রা, আলোর ঘনত্ব এবং চাপই শনাক্ত করতে পারে না, আশেপাশের আবহাওয়ার নিঁখুত হিসেবও নিতে পারে৷
মূত্র দিয়ে মোবাইল চার্জ করা
ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, মানুষ একবার টয়লেটে গিয়ে যে পরিমান প্রস্রাব করে, তা দিয়ে একটি মোবাইল তিন ঘণ্টা পর্যন্ত চালানো সম্ভব৷ এজন্য প্রস্রাবনির্ভর বিশেষ ধরনের ফুয়েল সেল তৈরি করেছেন তারা৷ এর সঙ্গে আরেকটি তথ্য, প্রতিবছর শুধু ইংল্যান্ডেই এক লাখ স্মার্টফোন টয়লেটে পড়ে যায়৷
রোমিং
যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ফ্লোরিডার ক্যালিন অ্যারোনেস কয়েকবছর আগে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন৷ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন বিলটি তিনি দিয়েছেন৷ ক্যানাডায় ছুটি কাটাতে গিয়ে টানা টেক্সটিংয়ের জন্য রোমিং চার্জ হিসেবে তাঁর গুণতে হয়েছিল এক লাখ আশি হাজার ইউরো৷
সাফল্যের অতুলণীয় গল্প
বিশ্বে বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক দশমিক নয় বিলিয়ন৷ সংখ্যাটি ক্রমশ বাড়ছে৷ চলতি বছরের শুরুতে গোটা বিশ্বে ৩৪৯ মিলিয়ন স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে৷ গত বছরের তুলনায় এই বিক্রি ৩ দশমিক নয় শতাংশ বেশি৷ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সেভেন৷ এরপরই রয়েছে অ্যাপলের আইফোন ৬এস এবং ৬এস প্লাস৷