শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানো দ্বীপ
২৮ ডিসেম্বর ২০১৩লান্সারটে দ্বীপটি অনেক উপর থেকে দেখতে হলে যেতে হবে একেবারে উত্তর প্রান্তে৷ জায়গার নাম মিরাদোর দেল রিও৷ চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় আগে শিল্পী সেজার মানরিকে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি গড়ে তোলেন৷ পর্যটকদের জন্য দ্বীপটি তিনিই সাজিয়েছেন৷ এই বিষয়ে সেজার মানরিকে ফাউন্ডেশনের আলফ্রেডো ডিয়াজ বলেন, ‘‘সেজার মানরিকে বুঝতে পেরেছিলেন একজন শিল্পী হিসেবে ছবি আঁকা, মূর্তি গড়া এবং বাড়ির নকশা তৈরি ছাড়াও তাঁর আরো দায়িত্ব রয়েছে৷ আর সেই দায়িত্ববোধ থেকেই লান্সারটে-র উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি৷''
সেজার মানরিকে মারা গেছেন সেই ১৯৯২ সালে৷ কিন্তু তাঁর বাড়িতে এখনো প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসেন৷ এখানে তিনি তাঁর নিজস্ব ভাবনা থেকে সংস্কৃতি এবং প্রকৃতির মধ্যে মিলন ঘটিয়েছেন৷ জমে যাওয়া লাভার বিশাল ক্ষেত্রের মধ্যে তৈরি করেছেন বাড়ি৷ পুরো বাড়িটাই স্থাপত্যশিল্পের এক অনন্য নিদর্শন৷
মানরিকের বাড়ি থেকে কয়েক মাইল দূরেই রয়েছে তাঁর শুরুর দিকের একটি প্রকল্প৷ ‘খামেয়স দেল আগুয়া' বা পানির গুহা৷ সেখানে এক বিরল সাদা কাঁকড়ার বাস, যাদের সাধারণত পানির দু'হাজার মিটার গভীরে পাওয়া যায়৷ পুরো দ্বীপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভিড় করেন সেখানে৷
‘খামেয়স দেল আগুয়া'-র উপরের অংশে রয়েছে একটি সুইমিং পুল৷ কয়েক বছর আগেও সেখানে সাধারণ মানুষ সাঁতরাতে পারতেন৷ কিন্তু এখন পর্যটকদের ভিড় অনেক বেড়ে গেছে৷ তাই এখানে এখন বিখ্যাত সংগীতজ্ঞদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷
সেজার মানরিকে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট পাথরের মধ্যে একটি কনসার্ট হল তৈরি করেছেন, যেখানে হাজার খানেক দর্শক সমবেত হতে পারেন৷
লান্সারটের দক্ষিণে অবস্থিত টিমানফায়া ন্যাশানাল পার্কে অগ্ন্যুৎপাতের আরো অনেক নমুনা রয়েছে৷ এখানকার ৩৩টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে বেশ কয়েকটি এখনো সক্রিয়৷ তবে খুব শীঘ্রই এগুলো থেকে কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই৷