1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তি চুক্তির এক যুগেও পাহাড়ে শান্তির দেখা মেলেনি

২ ডিসেম্বর ২০০৯

১২ বছর আগে ঠিক এই দিনে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অশান্ত পাহাড়কে শান্ত করতে সম্পাদন করেছিলেন পার্বত্য শান্তি চুক্তি৷ বছরের পর বছর পার হলেও পূরণ হয়নি চুক্তির শর্ত৷

https://p.dw.com/p/Kp9E
ফাইল ফটোছবি: DW / Golam Mustofa Sarowar

পাহাড়ি আর বাঙালিদের মধ্যে বিবাদ লেগেই আছে৷ সমাধান হয়নি ভূমি সমস্যার৷ এখনও ভূমিকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি বাঙালির সংঘাতে অশান্ত হয়ে ওঠে পাহাড়৷ তবে যে কোন মূল্যে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার৷ তিনি বলেন, দরকার হলে রোডম্যাপ করব৷ কোন কিছুতেই কুন্ঠা বোধ করব না৷ বিএনপির ৫ বছর ও পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরে শান্তি চুক্তির কোন কাজই হয়নি বল তাঁর অভিযোগ৷

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন, আদিবাসীদের প্রত্যাশার অধিকাংশই গত ১২ বছরে পূরণ হয়নি৷ সবার জন্য মঙ্গলজনক এই চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি করেন তিনি৷ এ জন্য রোডম্যাপ তৈরির কথাও বলেন তিনি৷

শান্তি চুক্তির অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল পাহাড় থেকে সেনা সদস্যদের প্রত্যাহার৷ কিন্তু বাস্তবতা হল এখনও পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে৷ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৩৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে সেনা সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আন্দোলনও হয়েছে৷ বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান বলেছেন, তাদের সময় ৮০টি ক্যাম্প থেকে সেনা সদস্যদের প্রত্যাহার করা হলেও কোন টু শব্দটি হয়নি৷ সেনা প্রত্যাহার একটি নিয়মিত বিষয়৷ এ নিয়ে কোন ঘোষণার প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

সেনা সদস্যদের প্রত্যাহারই একমাত্র সমাধান নয় বলে মনে করেন পার্তব্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা সংক্ষেপে সন্তু লারমা৷ তিনি বলেন, সেনা প্রত্যাহার করলেই হবে না, সেনাবাহিনীর অপারেশন উত্তরণ তো এখনও চলছে, তা বন্ধ করতে হবে৷

প্রতিবেদক: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক