রাস্তার রেস্তোরাঁ
কলকাতায় প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ আসেন রুটি-রুজির তাগিদে৷ এঁদের পেট ভরানোর দায়িত্ব নেয় অফিসপাড়ার রাস্তার ধারের খাবারের দোকানগুলো৷ সারা ভারতের নানা স্বাদের খাবারের সমাহার দেখা যায় এখানে, যা খুব স্বাস্থ্যকর না হলেও সস্তা৷
সব পাবেন
যা খেতে চান, সব পাবেন এখানে৷ পাশাপাশি ছাতার তলায়৷ অফিসপাড়ার টিফিনের সময় দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া যায় না এ সব রাস্তার ধারের রেস্তোরাঁয়৷ তবে সব কিন্তু অস্থায়ী৷ সন্ধের পর এলাকা শুনশান৷
মোগলাই খানা
বিরিয়ানি আর চিকেন চাঁপ৷ দাম শুনলে খাওয়ার সাহস হবে না, এমন সস্তা৷ তবু লোকে খেতে ভালবাসে এবং কী আশ্চর্য, তাঁদের শরীর খারাপ করে না একেবারেই৷
চীনা খাবার
কলকাতার অন্যতম পছন্দ চীনা খাবার৷ সে নামি রেস্তোরাঁ হোক, বা রাস্তার ধারের৷ মেনু অবশ্য সাদামাটা, কিন্তু পেটভরা খাবার৷ বিকেলের দিকে এই দোকানেই বিক্রি হবে তিব্বতি খাবার ‘মোমো’৷
নিরাপদ ডিম-টোস্ট
চীনা বা মোগলাই খানায় নেহাত সাহস না হলে আছে সামনে দাঁড় করিয়ে খোলা কয়লার উনুনের আগুনে সেঁকা পাঁউরুটি, সঙ্গে ডিম৷ বয়েলড, পোচড বা ওমলেট, যা আপনি খেতে চান৷
শহরতলীর মিষ্টি
শেষপাতে মিষ্টি ছাড়া বাঙালির খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না৷ এই দোকানিরা আসেন শহরতলী থেকে৷ বনগাঁর কাঁচাগোল্লা থেকে কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া, ঘরে তৈরি পিঠে-পাটিসাপটা, সব আছে এখানে৷
নিরামিষ ডাল-রোটি
অবাঙালিরা অনেকেই নিরামিষ খান৷ রাস্তার ওপরেই মাটির তন্দুর বানিয়ে গরম গরম রুটি আর নানা রকমের সবজি পাওয়া যায় এখানে৷ অর্থাৎ নিরামিষাশীদের জন্যেও রয়েছে প্রচুর আয়োজন৷
ইডলি-দোসা
নিরামিষ খাবারের মধ্যে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারও খুব জনপ্রিয় মহানগরীতে৷ মানে ইডলি, বড়া আর দোসা৷ সে-ও এখানে বানিয়ে দেয়া হয় চোখের সামনে৷ অনেকে আবার এ সব কিনে বাড়িতেও নিয়ে যান৷
ভরসার চিঁড়ে-মুড়ি
রাস্তার দোকানের রান্না খাবারে অনেকেরই ভরসা নেই৷ তাঁদের পছন্দ চিরকালীন চিঁড়ে-মুড়ি, ছোলা-বাদাম৷ যাঁরা ডায়েট করায় বিশ্বাসী, তাঁদের পছন্দের খাবার এটা৷
তাজা ফল
নেহাত কিছু খেতে না চাইলে আছে তাজা ফল৷ কলা, আপেল, পেঁপে, আনারস...৷ কলকাতা পুরসভার অবশ্য নিষেধাজ্ঞা আছে খোলা রাস্তায় কাটা ফল বেচার ব্যাপারে৷ রাস্তার ধুলোবালিতে কাটা ফল খাওয়া যে স্বাস্থ্যকর নয়!
হজমি দাওয়াই
খুব বেশি খাওয়া হয়ে গেলে তারও দাওয়াই আছে এই রাস্তাতে৷ পাতিলেবু, বিটনুন আর পুদিনার রসের সরবত৷ এক গেলাস খেলেই বদহজম দূরে৷