মস্কোর মেট্রো স্টেশনগুলো যেরকম
ইউরোপের সবচেয়ে বড় শহর রাশিয়ার রাজধানী মস্কো৷ প্রায় সোয়া কোটি লোকের বাস সেখানে৷ প্রতিদিন প্রায় ৮০ লক্ষ যাত্রী মস্কোর মেট্রো ব্যবহার করেন৷
দুই’শ মেট্রো স্টেশন
মস্কোর প্রায় সোয়া কোটি বাসিন্দার পরিবহণ চাহিদা মেটাচ্ছে এই স্টেশনগুলো৷ প্রতিদিন প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ মেট্রো ব্যবহার করেন৷ ছবির লাল রংয়ের ‘এম’ চিহ্ন সবাইকে জানিয়ে দেয় যে, এটি একটি মেট্রো স্টেশন৷
নতুন দু’টি স্টেশন
সম্প্রতি মস্কোতে দু’টি নতুন মেট্রো স্টেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে৷ এর মধ্যে একটি রুমিয়ানৎসেভো (ছবিতে যেটা দেখছেন)৷ স্টেশনটির নকশা করা হয়েছে ‘নিও-প্লাস্টিসিজম’ ধারার আদলে৷ অনুভূমিক ও খাড়া লাইনগুলো সেই নকশার একটি অংশ৷
যেন গাছ!
ছবি দেখে কি তা-ই মনে হচ্ছে না! অসাধারণ এই নকশার কারণে ২০১৪ সালে নির্মিত ট্রোপারিয়োভো স্টেশনটি অনেক যাত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে৷ নতুন তৈরি বলে প্রতিবন্ধীরা যেন এই স্টেশন ব্যবহার করতে পারেন সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ অনেক আগে তৈরি স্টেশনগুলোতে সেই ব্যবস্থা নেই৷
সাধারণ নকশা
গত শতকের সত্তরের দশকে রাজনৈতিক উত্তেজনার সময়ও মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়েছিল৷ তবে সেগুলোর নকশা ছিল সাধারণ৷ যেমন কুৎসনেটস্কি স্টেশন৷ এটি তৈরি হয়েছিল ১৯৭৫ সালে৷
সমাজতন্ত্রের সময়
সবচেয়ে জাকজমকপূর্ণ স্টেশনগুলো তৈরি হয়েছিল স্ট্যালিনের সময়৷ নানা ধরণের পেইন্টিং আর শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানো হতো স্টেশনের বিভিন্ন অংশ৷ সমাজতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন চরিত্র, যেমন সৈন্য, শ্রমিক, কৃষকরা প্রাধান্য পেত এসব শিল্পকর্মে৷ যেমন কিয়েভস্কায়া স্টেশনে ইউক্রেনের পল্লিজীবনের ছবি ফুটে উঠেছে৷
ভুলে যাওয়া বন্ধুত্ব
কিয়েভস্কায়া স্টেশনেরই আরেকটি অংশ এটি৷ গত শতকের পঞ্চাশের দশকে নির্মিত এই স্টেশনের কয়েকটি শিল্পকর্মে রাশিয়া ও ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও দুই দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে তুলে ধরা হয়েছে৷ তখন কি কেউ দুই দেশের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্কের কথা ভাবতে পেরেছিলেন!
যেন গির্জার জানালা
এটি মস্কোবাসীর অন্যতম প্রিয় নোভোস্লোবোডস্কায়া মেট্রো স্টেশন৷ অনেক গির্জায় যেমন উজ্জ্বল রঙয়ের জানালার দেখা পাওয়া যায় সেরকমই কিছুর দেখা পাওয়া যায় ঐ স্টেশনে গেলে৷ এই স্টেশনে গেলে যাত্রীরা কেমন যেন সাগরের নীচের পরিবেশের অভিজ্ঞতা লাভ করেন৷
অন্যতম পুরনো
এটি মায়াকোভোস্কায়া মেট্রো স্টেশন৷ ১৯৩৮ সালে চালু হয়েছিল এই স্টেশন৷
সৌভাগ্যের প্রতীক!
প্লোশচাড রেভুলিয়ুটসি মেট্রো স্টেশনে সমাজতন্ত্রের শীর্ষ নেতাদের ব্রোঞ্জের মূর্তি রয়েছে৷ সঙ্গে তাদের কুকুর ও মুরগিও রয়েছে৷ যাত্রীরা এ সব মূর্তির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কুকুর বা মুরগির গায়ে হাত ছুঁয়ে যান৷ কারণ তাঁরা মনে করেন, এর ফলে সৌভাগ্য তাদের সঙ্গী হতে পারে৷