ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালের বিশ্ব ঐতিহ্য
২৫ এপ্রিল, ২০১৫ শনিবার নেপালে ৭.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে৷ এতে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়৷ আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় নেপালে থাকা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পাওয়া সাতটি নিদর্শন৷
কাঠমান্ডু ভ্যালি
প্রায় ২২০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই ভ্যালিতে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় থাকা সাতটি নিদর্শন রয়েছে৷ ভূমিকম্পে সবগুলোই কমবেশি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে৷
শম্ভুনাথ মন্দির কমপ্লেক্স
বৌদ্ধ অনুসারীদের কাছে এই মন্দির সম্ভবত সবচেয়ে বেশি পবিত্র স্থান৷ সেখানে আছে একটি স্তূপ, কয়েকটি মন্দির ও আশ্রম৷ সেই স্তূপে গৌতম বুদ্ধের চোখ ও ভ্রু আঁকা রয়েছে, ছবিতে যেমনটা দেখা যাচ্ছে৷ ভূমিকম্পে এই মন্দির কমপ্লেক্সটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
কাঠমান্ডু দরবার চত্বর
আঠার শতকের মাঝামাঝি সময়ে নেপাল একীভূত হওয়ার আগে সেখানে অনেকগুলো রাজ্য ছিল৷ এ সব রাজ্যের রাজবাড়ির আশেপাশের স্থানগুলো দরবার চত্বর নামে পরিচিত৷ এর মধ্যে কাঠমান্ডু ভ্যালিতে অবস্থিত তিনটি দরবার চত্বর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে৷ কাঠমান্ডু দরবার চত্বর এর একটি (বর্তমান ছবি)৷ পরের ছবিতে ভূমিকম্পের পরবর্তী অবস্থা দেখতে পাবেন৷
ভূমিকম্পের পর...
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কাঠমান্ডু দরবার চত্বরের মন্দির আর প্যাগোডাগুলো আর কখনও পুরোপুরি ঠিক করা যাবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ ড. পিডি বালাজি৷
ভক্তপুর দরবার চত্বর
রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১৩ কিলোমিটার পূবে অবস্থিত ভক্তপুর দরবার চত্বরের আগের ছবি এটি৷ ভূমিকম্প পরবর্তী অবস্থা দেখা যাবে পরের ছবিতে৷
ভূমিকম্পের পর...
এই হলো ভক্তপুর দরবার চত্বরের বর্তমান অবস্থা৷
পাটান দরবার চত্বর
ললিতপুর জেলার এই দরবার চত্বরের মেঝে লাল ইট দিয়ে গড়া৷ কাঠমান্ডু ভ্যালির আদিবাসী ‘নেওয়ার’দের ‘নেওয়া’ স্থাপত্যের অনেক নিদর্শন রয়েছে সেখানে৷ ভূমিকম্পের হাত থেকে রক্ষা পায়নি এই চত্বরটিও৷ দেখুন পরের ছবিতে৷
ভূমিকম্পের পর...
কী মনে হচ্ছে ছবি দেখে?
ধারাহারা টাওয়ার
কাঠমান্ডুতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে ৬২টি মিটার উঁচু এই টাওয়ারটি বেশ আকর্ষণীয় ছিল৷ আঁকাবাঁকা সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে পুরো কাঠমান্ডুর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যেত৷ কিন্তু ভূমিকম্পে টাওয়ারটি ধসে পড়েছে৷ সেই দৃশ্য দেখা যাবে পরের ছবিতে৷
ভূমিকম্পের পর...
কে বলবে এটি একটি টাওয়ার ছিল!
চ্যাঙ্গু নারায়ণ মন্দির
এই হিন্দু মন্দিরটি নেপালের সবচেয়ে পুরনো মন্দির বলে পরিচিত৷ রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮ কিলোমিটার পূবে অবস্থিত একটি পাহাড়ের চূড়ায় এই মন্দিরটির অবস্থান৷ পঞ্চম ও দ্বাদশ শতাব্দীর নেপালি শিল্পকলার বেশ কিছু নিদর্শন রয়েছে এই মন্দিরে, ভূমিকম্পে যেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
পশুপতিনাথ মন্দির
নেপালে হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র স্থান বলে ধরা হয় এই মন্দিরকে৷ ভূমিকম্পে এটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷